নারায়ণগঞ্জে প্রাইভেট পড়াতে অস্বীকৃতি জানানোয় স্কুল শিক্ষিকাকে লাঞ্ছনার পর শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত আইনজীবীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকেলে হাজিগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় তদন্ত শেষে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
নারী শিক্ষিকার বাড়িতে ঢুকে মারধর ও জুতাপেটাসহ লাঞ্ছনার অভিযোগে নির্যাতনের শিকার শাহীনূর পারভীনের বাবা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে সোমবার দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। আসামিরা হলেন- সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খন্দকার ও তার স্ত্রী রোকেয়া খন্দকার।
সোমবার সন্ধ্যায় মামলার আসামি অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খন্দকারকে তার বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ফতুল্লা থানার ওসি কামাল উদ্দিন পিপিএম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ফতুল্লার হাজীগঞ্জ এলাকার প্যাসিফিক ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষিকা লাঞ্ছিত শাহীনূর পারভীন শানু বলেন, হাজীগঞ্জ এলাকায় পাশাপাশি বাড়িতে বসবাস করায় স্থানীয় প্রভাবশালী আইনজীবী আবদুল মজিদ খন্দকার রোববার রাত ১০টার দিকে তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাসায় এসে তাদের নাতনিকে বাসায় গিয়ে পড়ানোর প্রস্তাব দেন। দীর্ঘ ছয় মাস ধরে কিডনিজনিত রোগে অসুস্থ থাকায় তাদের এ প্রস্তাব আমি ফিরিয়ে দেই।
এতে ওই আইনজীবী ও তার স্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ছেলেমেয়ে ও স্বজনদের সামনেই আমাকে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করে। এরপর পায়ের জুতা খুলে জুতাপেটাও করেন। এতে আমি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে রোববার রাতেই পরিবারের লোকজন আমাকে শহরের খানপুরে ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে চিকিৎসা শেষে সোমবার সকালে বাড়িতে ফিরেছি।
শিক্ষিকাকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে আবদুল মজিদ খন্দকার বলেন, আমি আর আমার স্ত্রী আমাদের নাতনিকে বাসায় গিয়ে পড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছি শিক্ষিকা শাহীনুরকে। তিনি আমাদের মুখের উপর না করে দিয়ে অপমান করেছে।
এ নিয়ে তাকে মারধর করা হয়নি, শুধু তর্ক হয়েছে। একটি চক্র সামাজিকভাবে আমাকে হেয় করতে তুচ্ছ ঘটনাকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে বড় করে তুলছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন জানান, আবদুল মজিদ খন্দকার ও তার স্ত্রী রোকেয়া খন্দকারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় মামলার এক আসামি অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খন্দকারকে তার বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।