আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহানকে অন্য থানায় বদলি না করায় চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি ও এসপির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের আবেদন করা হয়েছে।
আজ বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের আদালতে এ আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার একই বেঞ্চে এই আবেদনের ওপর শুনানি হবে।
গত ২৯ জানুয়ারি পুলিশ হেফাজতে থাকা ফৌজদারি মামলার এক আসামিকে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে সাজা দেওয়ার ঘটনায় লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহানকে অন্য থানায় বদলির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে ওই সাজার ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় হাইকোর্টে তলবকৃত লোহাগাড়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও দু’জন উপ-পরিদর্শকসহ মোট চারজনের ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। আর তলবকৃতদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট মতিন খসরু। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ফারজানা শারমিন ও আইনজীবী মোকবুল আহমেদ।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ অক্টোবর গাঁজাসহ হাতেনাতে ধরার অভিযোগে লোহাগাড়া আধুনগরের বাসিন্দা বেলাল হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত ৮ মাসের সাজা দেয়। সেই সাজার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে মনজিল মোরসেদ এই রিট আবেদন করেন।
পরে মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘অন্য একটি মামলায় গত বছরের ১৩ অক্টোবর রাতে বেলালকে গ্রেফতার করে পরদিন তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। ১৪ অক্টোবর মোবাইল কোর্টের এক আদেশে বলা হয়, বেলা ১২টা ১০ মিনিটে বেলালকে তার গ্রামের বাড়ির সামনে থেকে দুই পুরিয়া গাঁজাসহ হাতেনাতে ধরা হয়। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালতের জব্দ তালিকায় তারিখ বলা হয় ১৩ অক্টোবর রাত ৯টা ৫মিনিট।
এর মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে যে, পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় তাৎক্ষণিকভাবে মোবাইল কোর্ট স্থাপন করে বাদীকে সাজা দেওয়া হয়েছে। যা সংবিধান ও আইনের পরিপন্থী বলেও তিনি জানান।