আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন, গ্রেনেড হামলা, মানহানি, ও রাষ্ট্রদ্রোহসহ মোট ৯টি মামলা চলমান রয়েছে রয়েছে। এছাড়া অর্থপাচার ও অর্থ-আত্মসাতের মামলার রায়ে তাকে মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে প্রায় ২২ কোটি টাকা জরিমানা করেছে আদালত।’
আজ বুধবার জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
আইন মন্ত্রী বলেন, ‘১/১১ পরবর্তী সেনাসমর্থিত সরকারে আমলে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. যোবায়দা রহমান ও শাশুড়ী সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুকে আসামী করে কাফরুল থানায় মামলা (নং-৫২/২০০৭) করা হয়। ওই মামলায় দাখিল করা অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে ডা. যোবায়দা রহমান হাইকোর্ট বিভাগে দরখাস্ত করেন। হাইকোর্ট বিভাগ ওই দরখাস্ত খারিজ করে দেন।’
আনিসুল হক জানান, মামলার খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপীল বিভাগে করা মিস পিটিশন (নং-৫১৬/২০১৭) এখন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে। এছাড়া দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দুটি মামলা (নং -২৯/১১ ও ৩০/১১)) চলছে। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে চলছে ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি তেজগাঁও থানার দায়ের হওয়ার মামলা (নং-১৩/২০১৫) উদ্ভুত রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা (১৫৫৮২/১৭)। এছাড়া ঢাকার সিএমএম কোর্টে রয়েছে ৫টি মানহানির মামলা (১৯৬/২০১৫, ৭২০/১৪, ৯৫৪/১৪, ৮৪১/১৪ ও ৬১৪/১৪)। এইগুলোর মধ্যে একটিতে তারেকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় দায়ের হওয়ার মানি লন্ডারিং মামলা (নং-০৮) থেকে উদ্ভুত বিশেষ মামলায় (নং-১৭/২০১১) নিম্ন আদালত তারেক রহমানকে খালাস দেয়। ওই খালাস আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপীল (৭২২৫/২০১৩) করা হয়। ২০১৬ সালের ২১ জুলাই এ আপিলের রায়ে তারেক রহমানকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় তারেক রহমানের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা জরিমানা হয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিজ্ঞ আদালত তারেক রহমানকে জরিমানার টাকা অন্যান্য আসামীদের সঙ্গে আনুপাতিক হারে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমাদানের নির্দেশ প্রদান করেছেন।’