বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সংবিধানগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সংবিধান অন্যতম ও অনন্য বলে দাবি করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
ঢাকার ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ আয়োজিত এক সেশনে বক্তৃতাকালে গতকাল মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) তিনি এই দাবি করে বলেন, ‘এ সংবিধান উত্তরাধিকার সূত্রে নয়, বরং লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হওয়ার অব্যবহিত পরেই অতি স্বল্প সময়ে বঙ্গবন্ধু ৪ নভেম্বর ১৯৭২ এ জাতিকে উপহার দেন এই অনন্য সংবিধান।’
স্পিকার বলেন, ‘রাষ্ট্রের ৩টি অঙ্গ-নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা ও বিচার বিভাগ। এই ৩টি অঙ্গ সংবিধান অনুযায়ী জনগণের স্বার্থেই কার্যাবলী সম্পাদন করে থাকে।’
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭ অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, ‘জনগণের কল্যাণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রের ৩টি অঙ্গের কার্যাবলীর মধ্যে সমন্বয় ও সংগতি থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে সংবিধান জনগণের মৌলিক অধিকারগুলো সংরক্ষণ করে ও নিশ্চয়তা প্রদান করে। বাংলাদেশের সংবিধানে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষতা এবং জাতীয়তাবাদ- এই চারটি মূলনীতিকে সমুন্নত রাখা হয়েছে- যার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে বঙ্গবন্ধুর কাঙ্খিত সোনার বাংলার ঠিকানায়। এরই মধ্যে এমডিজি অর্জিত হয়েছে- এসডিজি’র লক্ষ্যে কাজ চলছে- যেখানে কেউ পিছিয়ে থাকবে না।’