শিশু জয়নাব হত্যাকারী ইমরান আলীকে ফাঁসির দণ্ড দিয়েছে পাকিস্তানের আদালত। পাঞ্জাব প্রদেশের কাসুরের এক কারাগারের অভ্যন্তরে সন্ত্রাস-বিরোধী আদালতের বিচারক সাজ্জাদ আহমেদ এই দণ্ড ঘোষণা করেন।
আজ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ত্রাস-বিরোধী আদালত চারটি অভিযোগ আমলে নিয়ে এই দণ্ড দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে সেদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়েছে, চারটি অভিযোগ আমলে নিয়ে ইমরানের ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাকে শিশু হত্যা, শিশু অপহরণ, শিশু ধর্ষণ এবং শিশুর সঙ্গে অস্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া শিশুর দেহ উন্মুক্ত করে নির্যাতন চালানোর দায়ে ইমরানকে আরও সাত বছরের কারাদণ্ড ও দশ লাখ টাকা জরিমানার দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ফরেনসিক পরীক্ষায় জানা যায়, জয়নাবের শরীরে পাওয়া সন্দেহভাজন অপরাধীর ডিএনএ নমুনাটি আগে ধর্ষণের শিকার হওয়া সাতটি শিশুর শরীরেও পাওয়া গিয়েছিলো। গত ২৩ জানুয়ারি ওই নমুনার সঙ্গে এক সন্দেহভাজনের নমুনা মিলে যাওয়ার পর পাঞ্জাবের মূখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেন ইমরান আলী হলেন সেই অপরাধী। সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে শুরু হয় তার বিচার। এই ঘটনায় জয়নাবের চাচা ও ভাইসহ মোট ৫৬ জন স্বাক্ষ্য দেন। প্রসিকিউটর জানান, ফরেন্সিক রিপোর্ট ও পলিগ্রাফিক পরীক্ষায়ও প্রমাণ হয়েছে যে ইমরানই জয়নবকে হত্যা করেছে।
চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি কোরআন ক্লাস শেষে ফেরার পথে নিখোঁজ হয় পাঞ্জাবের কাসুরের সাত বছরের শিশু জয়নাব আনসারি। বাবা-মা সৌদিতে ওমরাহ পালনে যাওয়ায় কয়েকদিনের জন্য খালার বাড়িতে থাকা শিশুটির মরদেহ ৯ জানুয়ারি শহরের একটি আবর্জনার স্তুপে পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তে নিশ্চিত হওয়া যায় ধর্ষণের পর হত্যার শিকার সে। এক বছরের মধ্যে বারোতম শিশু হিসেবে ধর্ষণের শিকার হওয়া জয়নাবের মৃত্যুতে শুরু হয় বিক্ষোভ। কাসুরের বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে দুইজন নিহত হলে পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে সেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।