এশিয়ার বৃহত্তম বার খ্যাত ঢাকা আইনজীবী সমিতির ২০১৮-১৯ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি। এবারের নির্বাচনে ২৭টি পদের বিপরীতে মোট ৫৫ জন প্রার্থী লড়ছেন।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে ‘সাদা প্যানেল’ এবং বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের ব্যানারে ‘নীল প্যানেল’ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। বড় দুই প্যানেলের বাইরে সদস্য পদে একজন স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে নিবন্ধিত আইনজীবীর সংখ্যা প্রায় ২২ হাজার ২৪ জন হলেও বৈধ ভোটারের সংখ্যা ১৬ হাজার ১২৯ জন।
ঢাকা বারের নির্বাচন কমিশনার সালমা হাই টুনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা আশা করছি সব ভোটারই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তবে বাস্তবতা হলো কখনোই শতভাগ ভোট পড়েনি। ৮০-৮৫ ভাগ ভোট পড়তে পারে।
সম্পাদকীয় পদে সাদা প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন- সভাপতি পদে আবদুর রহমান হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক পদে মো. মিজানুর রহমান মামুন। এছাড়া সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে কাজী শাহানারা ইয়াছমিন, সহ-সভাপতি পদে মো. রুহুল আমিন, ট্রেজারার পদে আরিফুর রহমান চৌধুরী সুমন, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার দিপু, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. কামাল হোসেন পাটওয়ারী, লাইব্রেরি পদে এম মনিরুজ্জামান মনির, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে তাছলিমা আক্তার রিতা, দফতর সম্পাদক পদে আব্দুর রশিদ, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে হুমায়ুন খন্দকার টগর এবং ক্রীড়া সম্পাদক পদে সাদিয়া আফরীন শিল্পী।
সদস্য পদে আব্দুর রব খান পল্লব, আসাদুজ্জামান বাবু, মো. হাসান আকবার আফজাল, সুমন মিয়া, মো. নুরুদ্দিন, শেখ সাইফুর রহমান সুমন, মো. ইব্রাহিম হোসেন, মো. সাইফুজ্জামান টিপু, মোহা. আহসান হাবীন, সাদিয়া আফরোজা, সাবিনা আক্তার দিপা, মির্জা মো. জামাল হোসেন, মো. খায়রুল ইসলাম, সিফাত নাহার সুমি ও তুষার ঘোষ।
সম্পাদকীয় পদে নীল প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন- সভাপতি পদে গোলাম মোস্তফা খান ও সাধারণ সম্পাদক পদে মো. হোসেন আলী খান হাসান। সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম দেওয়ান সহ-সভাপতি পদে এ আর মিজানুর রহমান, ট্রেজারার পদে মো. লুৎফর রহমান আজাদ, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. নিহার হোসেন ফারুক, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. সাখাওয়াত উল্লাহ ভুইয়া ছোটন, লাইব্রেরী পদে এবিএন ইফতেখারুল হক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে শাহনাজ বেগম শিরীন, দফতর সম্পাদক পদে মো. জুলফিকার আলী হায়দার জীবন, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে এমএবিএম খায়রুল ইসলাম লিটন এবং ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. খলিলুর রহমান।
সদস্য পদে একতান্দার হোসেন হাওলাদার বাপ্পি, হান্নান ভূঁইয়া, জাকিয়া সুলতানা মিষ্টি, মো. ইকবাল মাহমুদ সরকার, মো. মুকতাদির আহমেদ কাজল, মো. রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, মো. শাহীন হোসেন, মো. জাহেদ উল আলম জ্যোতি, মেহেদী হাসান বাদল, মো. ইব্রাহিম স্বপন, মো. ইয়াছিন মিয়া, মোসা. জেবুন্নেছা খানম জীবন, নজরুল হক শুভ, শারমিন জাহান শিমু ও জহুরা খাতুন জুঁই।
বড় দুই প্যানেলের বাইরে সদস্যপদে মৌসুমী বেগম ওরফে ঢাকাইয়া মৌসুমী নামে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন।
গতবারে ২০১৭-১৮ মেয়াদের নির্বাচনে ২৭টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২১টি পদে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেল জায়লাভ করে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল ট্রেজারারসহ মাত্র ৬টি পদে জয়লাভ করে।