টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ঢাকার আইডিয়াল ল’ কলেজের ছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রূপা ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চারজনের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ) হাইকোর্টে এসে পৌঁছেছে।
হাইকোর্টের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এরই মধ্যে রূপা হত্যা মামলার প্রয়োজনীয় নথিপত্র হাইকোর্টে এসে পৌঁছেছে।
এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় চারজনের ফাঁসি ও একজনের ৭ বছরের দণ্ড দিয়েছেন টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এক নম্বর আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বাসটির হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫)। ৭ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত হলেন- বাসের সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫)।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট ছোঁয়া পরিবহনের বাসে বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাচ্ছিলেন রূপা। এসময় তাকে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের পর হত্যা করে বাস শ্রমিকরা। পরে মরদেহ মধুপুর উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে গ্রেফতার বাসটির হেলপার শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর এবং চালক হাবিবুর ও সুপারভাইজার সফর আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
পরে চার্জশিট দায়েরের পর সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে গত ১২ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করা হয়।