খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা বর্তমান সরকার নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার করেছে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক। আর তার রায়টা তো আর আমি দেইনি। রায় দিয়েছেন কোর্ট।’
আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) গভর্নিং কাউন্সিলের ৪১তম বার্ষিক বৈঠকে যোগ দিয়ে ইতালি ও ভ্যাটিক্যান সিটি থেকে দেশে ফেরার পর আজ সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সেই তত্ত্বাবধায় সরকার কে? ফখরুদ্দিন সাহেব ওয়ার্ল্ড ব্যাংকে কাজ করতেন। তাকে এনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর করা হলো। কারণ তিনি বিএনপি বা খালেদা জিয়া বা সাইফুর রহমান সাহেবের বিশ্বস্ত ছিলেন। এজন্য তাকে নিয়ে আসলেন। সেনা বাহিনীতে নয়জন জেনারেলকে ডিঙিয়ে জেলারেন মঈনকে সেনা প্রধান করা হলো। নয়জন জেনারেলকে ডিঙিয়ে যখন কাউকে সেনা প্রধান করা হয়, তার মানে কী? তিনি সবচেয়ে বিশ্বস্ত। আর প্রেসিডেন্ট ইয়াজউদ্দিন তো তাদের ইয়াজউদ্দিনই ছিলেন। এই তিনজনই তাদের লোক ছিলেন। তারাই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন। জেনারেল মতিন, আমাদের মঈনুল হোসেন, তারাই মামলা দিয়েছেন।
খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত না করে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। দলটির এই ঘোষণা সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা তো নতুন কিছু না। আপনাদের নিশ্চয় স্মরণ আছে, ২০১৪ সালের তারা নির্বাচন করবে না বলে, নির্বাচন ঠেকানোর নামে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। প্রায় সত্তরটা সরকারি অফিস তারা পুড়িয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হত্যা করেছে। গাড়িতে পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছে। তারা ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালে এই সময়ের মধ্যে তারা প্রায় পাঁচ শয়ের মতো মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাড়ে তিন হাজারেরও বিশ মানুষকে পুড়িয়েছে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘নির্বাচন হচ্ছে মানুষের অধিকার। তার সাংবিধানিক অধিকার। এখন বিএনপি বলছে নির্বাচনে যাবে না। আপনারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে এত কথা বলেন, সেই দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত নেত্রীকে ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। রায়টা তো আর আমি দেইনি। রায় দিয়েছেন কোর্ট।’