মামলায় দীর্ঘসূত্রিতার কারণে সারাদেশের বিভিন্ন কারাগারে ৭ বছরের বেশি সময় ধরে আটক ১৩৯ জন আসামির মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে সময় বেঁধে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত এক আবেদন আমলে নিয়ে আজ সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
একইসঙ্গে তাদের বিষয়ে বিচারকালীন মামলার সাক্ষীদের আদালতে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের গাফিলতি হলে সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। আদেশে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে এক্ষেত্রে সহায়তা করতে বলা হয়েছে।
আদালতে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের পক্ষে ৭ বছরের বেশি সময় কারাগারে আটক থাকা আসামির একটি তালিকা আদালতে উপস্থাপন করেন আইনজীবী কুমার দেবুল দে।
পরে আইনজীবী কুমার দেবুল দে ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে বলেন, ‘সাত বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে থাকা ১৩৯ আসামির বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছি। আদালত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে ১৩৯ আসামির মামলা বিচারিক আদালতে আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলেছেন। একইসঙ্গে আসামিদের বিচার শেষ করে এ সংক্রান্ত একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টের মনিটরিং কমিটির কাছে দাখিল করতে বলেছেন।’
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে ৪৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৬ জন, সিলেট বিভাগে ১২ জন, বরিশাল বিভাগে একজন, খুলনা বিভাগে পাঁচ জন, রংপুর বিভাগে ১০ জন এবং ময়মনসিংহ জেলায় ৮ জনসহ মোট ১৩৯ জন আসামি ৭ বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে আটক আছেন।
এর আগে গত বছরের ১৯ নভেম্বর ৭ বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে থাকা এসব আসামিদের তথ্য চেয়ে আদেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর ৩১ ডিসেম্বরের দীর্ঘদিন কারাগারে থাকা ১৩৯ আসামির প্রতিবেদন প্রস্তুত করে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি।