কোনো আদালত কর্তৃক ঘোষিত মামলার রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি কতদিনের মধ্যে সরবরাহ করতে হবে সে বিষয়ে প্রচলিত কোনো আইনে নির্ধারিত সময়ের উল্লেখ নেই।
অবশ্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আদালত যুক্তিযুক্ত সময়ের মধ্যে রায়ের কপি সরবরাহ করবে। কিন্তু এই ‘যুক্তিযুক্ত’ সময়ের কোনো ব্যাখ্যা আইন ও বিধি-বিধানের কোথাও নেই। গতকাল এক অনুষ্ঠানে আইন পেশায় দীর্ঘ ৫০ বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে আইনমন্ত্রী বলেন, রায়ের কপি পেতে হলে রায়টা কত বড় তার ওপর নির্ভর করে। শুধু মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের রায়ের কপি হাতে ধরিয়ে দেওয়া জরুরি। তারাই একমাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রায়ের কপি হাতে পাওয়ার দাবিদার। অন্যান্য ক্ষেত্রে রায় লিখতে যে সময়টুকু প্রয়োজন তার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।
আইনজ্ঞদের মতে, রায়ের অনুলিপি পাওয়ার বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৩৭১ ধারায় বলা হয়েছে, “আসামি আবেদন করিলে রায়ের অনুলিপি অথবা সে চাহিলে ও সম্ভব হইলে তাহার নিজের ভাষায় বা আদালতের ভাষায় উহার একটি অনুবাদ তাহাকে অবিলম্বে দিতে হইবে।”
আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কতদিনের মধ্যে রায়ের অনুলিপি দিতে হবে সেটা আইনে নিদ্দিষ্ট করে উল্লেখ নেই। এছাড়া বিচারক অনেক সময় রায়ে করণিক কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধন করে থাকেন। যার কারণে অনেক সময় রায়ের অনুলিপি পেতে বিলম্ব হয়ে থাকে।
এ প্রসঙ্গে সিআরপিসির ৩৬৯ ধারায় বলা হয়েছে, “এই বিধিতে বা বর্তমানে বলবত অপর কোন আইনে, ভিন্নরূপ বিধান না থাকিলে কোন আদালত রায়ে স্বাক্ষর করিবার পর কেরানীর ভুল সংশোধন করা ব্যতীত উহা পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা করিবেন না।”
তবে আইন বিশেষজ্ঞরা জানান, আইনানুযায়ী সম্পূর্ণ রায় প্রস্তুত করেই বিচারককে প্রকাশ্য আদালতে ঘোষণা ও তাতে স্বাক্ষর করতে হয়। সেই হিসাবে দ্রুতই রায়ের অনুলিপি পাওয়ার কথা।
আইনানুযায়ী রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি প্রাপ্তির পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করার সুযোগ রয়েছে।