সুপ্রিম কোর্টে বিএনপির হাজারও নেতা-কর্মী ভিড় জমিয়েছেন। সুপ্রিমকোর্ট চত্বর এবং হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট কোর্টের সামনের বারান্দায় তাদের উপস্থিতি রয়েছে লক্ষ্য করার মতো।
আজ সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন মিলে ১ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী আগাম জামিনের জন্য হাইকোর্টে অপেক্ষা করছেন।
এসব নেতাকর্মীর মধ্যে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে গত ৮ থেকে ১৪ তারিখের মধ্যে নাশকতা, ভাঙচুরসহ একাধিক অভিযোগের মামলায় আগাম জামিন পেতে তারা হাইকোর্টে এসেছেন।
নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে আসা উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এই মামলায় জামিন নিতে এখানে আজ প্রায় অর্ধশত নেতা এসেছেন। আমাদের আশা, জামিন পাবো।
নেত্রকোনার একটি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সুমন জানান, তারা ২৫০ জন এসেছেন আগাম জামিনের জন্য।
আগাম জামিন প্রার্থীদের একজন আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। ওইসব মিথ্যা মামলায় আগাম জামিন পেতে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতির কারণে হাইকোর্টের বারান্দায় এই ভিড়।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়াও দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এ মামলার অন্য চার আসামি বিএনপির সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
তাছাড়াও আত্মসাত করা ২ কোটি, ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা খালেদা জিয়া বাদে অন্য আসামিদের জরিমানা করা হয়।