জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজা থেকে খালাস চেয়ে আপিল করার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। সারারাত আপিল আবেদনের ড্রাফটিং শেষে সকালে কয়েক দফা বৈঠকে বসেছেন তারা।
আজ মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে খালেদা জিয়ার আপিলের ড্রাফটিং কপি নিয়ে আসেন আইনজীবীরা। এর মধ্যে কয়েক দফায় বৈঠক করছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
সকালে আদালতে এসেই তারা বৈঠকে বসেন। কোন বেঞ্চে তারা আপিলটি ফাইল করবেন, এ নিয়ে নিজেরা পরামর্শ করছেন। মঙ্গলবারই আপিল করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানান সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।
এর আগে রায়ের সার্টিফাইড কপি হাতে পেয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে ভোররাত চারটা পর্যন্ত আপিল আবেদনের ড্রাফটিং করেছেন আইনজীবীরা। এ সময় সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সাবেক সভাপতি এজে মোহাম্মাদ আলী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সানাউল্লা মিয়া, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার আপিলের ড্রাফটিংয়ের কাজ করেছেন। এজে মোহাম্মাদ আলীর ধানমন্ডির চেম্বারে ড্রাফটিংয়ের কাজ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ড্রাফটিং শেষে আপিলের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবী ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান বলেন, ‘সারারাত সিনিয়র আইনজীবীরা আমাদের ব্রিফ করেছেন, আমরা লিখেছি। ড্রাফট করেছি। দ্রুতই আমরা আপিল দায়ের করব।’
সোমবার বিকেল সাড়ে চারটায় রায়ের কপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। সুপ্রিম কোর্টে এসেও নিজেদের মাঝে শলা-পরামর্শ করেন তারা। তবে যেভাবেই হোক মঙ্গলবারই আপিল দায়ের করবেন বলে নিশ্চিত করেন ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয় খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ আসামিকে। রায় ঘোষণার পরই সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারকে বিশেষ কারাগার ঘোষণা দিয়ে সেখানে রাখা হয়।