বীমা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হওয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স ৪০ বছর করার বিধান কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বীমা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ ও অপসারণ সংক্রান্ত প্রবিধান কেন সংশোধন করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
জনস্বার্থে দায়ের করা এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জরি করেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ), আইডিআরএ চেয়ারম্যান, আইডিআরএ’র আইন ও জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ডিপার্টমেন্ট বিষয়ক সদস্যকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তনয় কুমার সাহা।
পরে অ্যাডভোকেট তনয় কুমার সাহা গণমাধ্যমকে জানান, ব্যাংক কোম্পানির সিইও নিয়োগের ক্ষেত্রে আইনে বলা হয়েছে, ৬৫ বছর অতিক্রম করলে কেউ ব্যাংকের সিইও হতে পারবেন না। তবে সর্বনিম্ন বয়সের কোনো সীমা নির্ধারণ করা নেই। কিন্তু বীমা কোম্পানির সিইও হতে হলে সর্বনিম্ন বয়স ৪০ বছর হতে হবে বলে আইনে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা আছে।
বীমা কোম্পানির সিইও নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়সের এমন বাধ্যবাধকতা থাকায় অনেক যোগ্য ব্যক্তিই সিইও হতে পারছেন না। ফলে বীমা খাতে যোগ্যতাসম্পন্ন ও মেধাবি সিইও’র এক ধরনের সংকট দেখা দিচ্ছে। তাই সর্বনিম্ন বয়সের সীমা উঠিয়ে দিতে জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করা হয়।
রিটের শুনানি শেষে আজ আদালত ওই রুল জারি করেন।