প্রতিটি দেশ, প্রতিটি সমাজ, এমনকি প্রতিটি ব্যবস্থায় ধর্ষণকে সবথেকে বড় এবং ঘৃণ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। একই সঙ্গে ধর্ষণের বিরুদ্ধে শাস্তির বিধানও সেভাবে নির্ধারণ করা হয়। কোথাও কোথাও আবার এই বিষয়টিকে সামাজিক ব্যাধি বলেও ধরে নেওয়া হয়। এর ফলে নির্যাতিতার জীবনে নেমে আসে নানা ধরনের বাধা। তবে বিশ্বের এমন কতগুলো দেশ আছে, যেখানে ধর্ষণের সাজা মারাত্মক। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
চীন: সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী এই দেশটিতে ধর্ষণের সাজা শুধুমাত্র মৃত্যুদণ্ডই। ধর্ষণ প্রমাণ হলেই আর কোন সাজা নয়, সরাসরি মৃত্যুদণ্ড। আর তা কার্যকর করা হয় অত্যন্ত দ্রুত। কোনো ট্রায়াল নেই, মেডিকেল পরীক্ষার পর মৃত্যুদণ্ড!
ইরান: হয় ফাঁসি, না হয় গুলি। এভাবেই এদেশে শাস্তি দেওয়া হয় ধর্ষককে। কারণ তারা মনে করে, দোষী ধর্ষিতা নন, ধর্ষকই এই কাজে আসল দোষী।
আফগানিস্থান: আফগানিস্থানে ধর্ষণের হার অত্যন্ত কম। তবে, সেখানে ধর্ষণ করে কেউ ধরা পড়লে সোজা মাথায় গুলি করে মারা হয়।
মালোশিয়া: মৃত্যুদণ্ড
পোলেন্ড: হিংস্র বুনো শুয়োরের খাঁচায় ফেলে মৃত্যুদণ্ড!
মধ্যপ্রাচ্য বা আরব দুনিয়া: এখানেও ধর্ষণের সাজা ভয়ঙ্কর। এখানে ধর্ষককে প্রকাশ্যেই পিটিয়ে মারা হয়। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা পর্যন্ত পাথর ছুড়ে হত্যা, ফাঁসি, হাত-পা কাটা, যৌনঙ্গ কেটে অতি দ্রুত মৃত্যুদণ্ড। আর তাই এখানেও ধর্ষণের সংখ্যা অনেকটাই কম।
উত্তর কোরিয়া: এদেশে ধর্ষণের সাজা শুধুই মৃত্যুদণ্ড। অভিযোগের পর গ্রেফতার। তারপর অভিযোগ প্রমাণ হলে গুলি করে হত্যা করা হয় ধর্ষককে।
মঙ্গোলিয়া: ধর্ষিতার পরিবারের হাত দ্বারা মৃত্যুদণ্ড দিয়ে প্রতিশোধ পূরণ!
আমেরিকা: ধর্ষিতার বয়স ও ধর্ষণের মাত্রা দেখে ৩০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড।
ফ্রান্স: ইউরোপের এই দেশটিতে নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে ধর্ষকের সাজা ঠিক করা হয়। তবে, ধরা পড়ার পর এবং অপরাধ প্রমাণিত হলে কমপক্ষে ১৫ বছরের কারাদণ্ড। অপরাধ গুরুতর হলে তা বেড়ে হতে পারে ৩০ বছরও।
রাশিয়া: ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড।
দক্ষিণ আফ্রিকা: বিশ বছরের কারাদণ্ড।
নেদারল্যান্ড: ভিন্ন ভিন্ন সাজা।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট