জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানি আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। একইসঙ্গে এ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন একদিন বৃদ্ধি করেছেন আদালত।
আজ রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক আখতারুজ্জামান এই আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুর রেজাক খান। অপরদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেন, অন্য একটি মামলায় আসামি বেগম খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আছেন। তাই তাঁকে আদালতে হাজির করার জন্য হাজিরা পরোয়ানা জারির আবেদন করেছিলাম। তাঁকে আদালতে হাজির করার পরোয়ানা জারি করা হোক।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী আবদুর রেজাক খান আদালতকে বলেন, ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়েছে। ওই মামলায় আজ খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিও রয়েছে। তাই আজ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা পরোয়ানা না ইস্যু করে শুনানি মুলতবির আবেদন করেছি।’
রেজাক খান জানান, আজ পর্যন্ত খালেদা জিয়া এই মামলায় জামিনে আছেন। তাঁর জামিন বর্ধিত করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত আগামীকাল পর্যন্ত এই মামলার শুনানি মুলতবি রেখেছেন এবং আদেশের জন্য দিন রেখেছেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দুদকের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়েছে। আজ আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য ছিল। এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা দেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। বর্তমানে তিনি পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।