বাল্যবিয়ে শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে বর্তমান সরকার দরিদ্র পরিবারের ১৫-১৮ বছরের মেয়েদের অর্থ সহয়তা দেবে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।
রাজধানীর সিরডাপ মিলয়াতনে বাংলাদেশ সরকার এবং ইউনিসেফ-এর যৌথ আয়োজনে ‘এ স্কপিং অ্যানালাইসিস অব বাজেট এলোকেশন ফর এন্ডিং চাইল্ড ম্যারেজ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণা ফলাফলের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গতকাল রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা জানান।
মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ‘সরকার বাল্যবিবাহের সংখ্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে সরকার আইন প্রণয়নসহ নানাবিধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। দরিদ্রতা, নিরাপত্তাহীনতা ও সামাজিক অসচেতনতার অভাবে বাল্যবিবাহ হয়। তাই বাল্যবিবাহ রোধে অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দরিদ্র পরিবারের ১৫-১৮ বছরের মেয়েদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এবং ভাতা দেওয়ার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ কার্যক্রম চললে বাল্যবিবাহের সংখ্যা অনেক কমে যাবে।’
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব লায়লা জেসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন– মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব নাছিমা বেগম, অতিরিক্ত সচিব মাহমুদা শারমিন বেনু, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আজিজুল আলম, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি কার্লোস একোস্টা এবং ড. আবুল হোসেন।