পুলিশের উপমহাপরিদর্শক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। দ্বিতীয় বিয়ে লুকাতে ক্ষমতার অপব্যবহার ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সদর দপ্তর গত জানুয়ারিতে তদন্ত কমিটি গঠন করে।
কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেন, সংবাদমাধ্যমগুলো আগেই তদন্ত করে ফেলেছিল। কমিটির অনুসন্ধানেও একই জিনিস বেরিয়ে এসেছে। অপর একজন সদস্য বলেন, কমিটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করেছে। তদন্তে কোনো কিছু বাড়িয়ে বলা হয়নি, কমিয়েও না।
গত ৮ জানুয়ারি পুলিশ সদর দপ্তর মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মইনুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার শাহাবুদ্দীন কোরেশী ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মিয়া মাসুদ হোসেন।
মিজানুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ব্যাংক কর্মকর্তা মরিয়ম আক্তারকে গত বছরের জুলাই মাসে ৫০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন। ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি বিষয়টি গোপন রাখার শর্ত দিয়েছিলেন। মরিয়ম স্ত্রীর স্বীকৃতি চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি গত ১২ ডিসেম্বর পুলিশ পাঠিয়ে মরিয়মকে গ্রেপ্তার করান। তা ছাড়া মগবাজার কাজি অফিসের কাজিকে দিয়েও মামলা করান। প্রায় তিন সপ্তাহ পর জেল থেকে ছাড়া পান মরিয়ম।
মরিয়ম আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, মিজানুর রহমানের অন্যায়ের কারণেই এত কিছু হয়েছে। মিজান তাঁকে কৌশলে বিয়ে করে নির্যাতন করেন। সবকিছু মেনে নিয়েই তিনি সংসার করতে চেয়েছিলেন। জামিনে মুক্তির পর মরিয়ম আক্তার বসিলায় মিজানুর রহমানের ভাড়া করে দেওয়া একটি ফ্ল্যাটে অবস্থান করছেন। প্রথম আলো