সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ১১ বছরের শিশু খুশি খাতুনকে ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
আজ সোমবার (৫ মার্চ) দুপুরে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম) আদালতের বিচারক মো. রফিকুল ইসলাম ছয় আসামির উপস্থিতিতে এ দণ্ডাদেশ দেন।
সাজার আদেশপ্রাপ্তরা হলেন- শাহজাদপুর উপজেলার মশিপুর গ্রামের মৃত সিরাজ সরকারের ছেলে আব্দুল হাকিত (৪৬), মৃত কোরবান ব্যাপারির ছেলে হাচেন আলী (৩৮), মৃত মনছের আলীর ছেলে লোকমান (৫৩), ইউনুস আলীর ছেলে হাসান আলী (৩৩), একই উপজেলার কায়েমপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. রানা (৩৩), মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে নবির হোসেন (৩৬) ও বাতিয়ারপাড়া গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৩)। এদের মধ্যে রফিকুল পলাতক।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক আতা এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট আনোয়ার পারভেজ লিমন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলার বরাত দিয়ে তারা জানান, উপজেলার কায়েমপুর গ্রামের সাহেব আলীর ১১ বছরের শিশুকন্যা খুশি খাতুন ২০১০ সালের ১৬ জুলাই বিকালে পাশেই মশিপুর গ্রামের আব্দুল হাকিমের বাড়িতে তার মেয়ে আঁখি খাতুনের (৯) সঙ্গে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরদিন বিকালে কায়েমপুর মৌজার একটি পাটক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে নিহত শিশুর মা সাগরি খাতুন বাদী হয়ে আব্দুল হাকিমকে একমাত্র আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে আটজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এদিকে বিচারকাজ চলার সময়ে নবির মোল্লা নামে এক আসামি জেলহাজতে মৃত্যুবরণ করেন। সোমবার শুনানি শেষে মামলার বাকি সাত আসামির মধ্যে ছয়জনের উপস্থিতিতে এ রায় দেন আদালত। দুপুরে সাজাপ্রাপ্তদের জেলা কারাগারে নেওয়ার পর তাদের স্বজনদের আদালত প্রাঙ্গণে আহাজারি ও বিলাপ করতে দেখা গেছে।