সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটা সংরক্ষণ বাতিল চেয়ে করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার (০৫ মার্চ) বিচারাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো.আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূইয়া।
গত ৩১ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত রিট দায়ের করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র ও দুই সাংবাদিক।
ওইদিন আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূইয়া জানান, ১৯৭২ সালে এক নির্বাহী আদেশে সরকারি, বেসরকারি, প্রতিরক্ষা, আধা সরকারি এবং জাতীয়করণকৃত প্রতিষ্ঠানে জেলা ও জনসংখ্যার ভিত্তিতে ত্রিশ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা ও দশ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের জন্য কোটা প্রবর্তন করা হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে কোটায় সংস্কার ও পরিবর্তন করা হয়। বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১ম ও ২য় শ্রেণীর সরকারি নিয়োগে কোটা যেমন, প্রতিবন্ধী এক শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নাতি-নাতনি ত্রিশ শতাংশ, নারী দশ শতাংশ জেলা কোটা দশ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পাঁচ শতাংশ কোটা; সব মিলিয়ে ৫৬ শতাংশ কোটা বিদ্যমান রয়েছে।
এ কোটা প্রথা সংবিধানের ১৯,২৮ ও ২৯ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
রিট আবেদনটি দায়ের করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আনিসুর রহমান মির, ঢাকাস্থ কুমিল্লা সাংবাদিক সমিতির সদস্য সচিব দিদারুল আলম ও দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সিনিয়র সাব এডিটর আব্দুল ওদুদ।
রিটে বিবাদীরা হলেন- মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব, আইন সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, পিএসসির চেয়ারম্যান।