বরিশালের গৌরনদীর খাদেম সর্দার হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুই জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার বাকী ৭ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (৭ মার্চ) বেলা ১২টায় বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নানু মৃধা (৪০) বরিশালের গৌরনদী থানাধীন নন্দনপট্টি এলাকার মৃত শফিজউদ্দিন মৃধার ছেলে এবং যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলো ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত নান্নুর ভাই সেন্টু মৃধা (৩৫) ও ধানডোবা এলাকার ফানুস মৃধার ছেলে আলাম মৃধা (৩৭)।
বরিশাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. গিয়াস উদ্দিন কাবুল গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্তরা এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলো। কিন্তু স্থানীয় সরদার বাড়ি সংলগ্ন আল আকসা জামে মসজিদ কমিটির সদস্যরা তাদের মাদক ব্যবসা বন্ধ করার পরামর্শ দেন এবং পরবর্তীতে আইনের আশ্রয় নেয়ার হুমকি দেন।
এর কিছুদিন পরে দণ্ডপ্রাপ্তদের বাড়িতে পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। যা নিয়ে মসজিদ কমিটির সদস্যদের ওপর ক্ষিপ্ত হন দণ্ডপ্রাপ্তরা।
এছাড়া মামলার বাদী পক্ষের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধও রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন ২০১৪ সালের ১৩ অক্টোবর রাত সোয়া ৮টার দিকে সরদার বাড়ি সংলগ্ন খালপাড়ে শাহআলম সর্দার, তার ভাই আসলাম সর্দার ও তাদের বাবা খাদেম সর্দারের ওপর দণ্ডপ্রাপ্তরা হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে। হামলায় বাদী প্রাণে রক্ষা পেলেও তার বাবা খাদেম সর্দার মারা যান এবং বাদীর ভাই আসলাম সর্দার পঙ্গুত্ব বরণ করেন।
এ ঘটনায় বাদী আল আকসা জামে মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি শাহআলম সর্দার বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
সিআইডি বরিশাল জোনের পরিদর্শক সেলিম শাহনেওয়াজ ২০১৫ সালের ১৬ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
আদালত ১১ জনের সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আজ এ রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত নানু মৃধা (৪০) এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আলাম মৃধা (৩৭) আদালতে উপস্থিত ছিলেন।