যৌতুক নিয়ে চাকরি পাওয়ার পর তালাক দেওয়ার অভিযোগে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পাবনার আদালতে মামলা করেছেন এক নারী। পার্বত্য চট্টগ্রাম রেঞ্জের কনস্টেবল আলামিনের বিরদ্ধে গত বৃহস্পতিবার পাবনার আমলি আদালত-৩ এ মামলা করেন সাঁথিয়া উপজেলার পাইকরহাটি গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।
অভিযোগের মুখে থাকা ওই পুলিশ সদস্য একই উপজেলার কাজীপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি স্ত্রী জান্নাতুলকে তালাকনামা পাঠান তিনি। মামলায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বাবা মিজানুর রহমান ও তার মা বুলবুলি খাতুনকেও আসমি করা হয়েছে।
কিন্তু আলামিন ও তার বাড়ির লোকজন আরও পাঁচ লাখ টাকার দাবিতে জান্নাতুলকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করেন এবং ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে তাকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয় মামলার আর্জিতে।
সেখানে বলা হয়, জান্নাতুলের বাড়ির লোকজন সমঝোতা করতে চাইলেও আলামিনের বাবা-মা তাতে রাজি না হওয়ায় সুবিচার পেতে আদালতে মামলা করেছেন তারা।
জান্নাতুল গণমাধ্যমকে বলেন, “আমার সুখের আশায় বাবার রেখে যাওয়া গচ্ছিত টাকা দিয়ে এই বিয়ে হয়। অথচ আমার স্বামী আমার সঙ্গে প্রতারণা করল।”
কিন্তু তারপরও আলামিন যৌতুকের জন্যে নির্যাতন করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে মারধর করে জান্নাতুলকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় অভিযোগ করে নাসরিন বলেন, “এখন শুনছি তারা আমার মেয়েকে তালাকনামা পাঠিয়েছে।”
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আলামিন গণমাধ্যমকে বলেন, “সংসারে নানা বিষয় নিয়ে সে খুবই খারাপ আচরণ করে বলে তালাকনামা পাঠিয়েছি।”
বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রউফ জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ২৪ এপ্রিল আসামিদের হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। বিডিনিউজ