জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন আদেশ রবিবার পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের ভিত্তিতে এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
কী কারণে এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, স্থগিতের কখনও কারণ দেখানো হয় না। চেম্বার জজ বলেন, ফুলকোর্ট বলেন যখন স্থগিতাদেশ দেওয়া হয় তখন কোনও কারণ দেখানো হয় না।
আজ বুধবার (১৪ মার্চ) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিতের পর আদালত থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘আপিল বিভাগের কার্যতালিকার শীর্ষে ছিল দুদকের জামিন স্থগিতের আবেদনটি। প্রধান বিচারপতি আমাদের প্রার্থনার পর এই মামলাটি আগামী রবিবারের মধ্যে লিভ পিটিশন দাখিল করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। রবিবার পর্যন্ত জামিন স্থগিত থাকবে। আজকে দুপুরের মধ্যে যদি আমরা সার্টিফায়েড কপি পেয়ে যাই তাহলে আজ না করতে পারলেও আগামীকাল দুপুরের মধ্যে লিভ টু আপিল দাখিল করতে পারবো।’
এক প্রশ্নের জবাবে খুরশীদ বলেন, ‘আদালতে বলেছি, উনার (খালেদা জিয়ার) পাঁচ বছরের সাজা হয়েছিল। হাইকোর্ট ডিভিশন চারটি গ্রাউন্ডে উনাকে জামিন দিয়েছেন। আমি আপিল বিভাগে নজির দেখিয়েছি। আপিল বিভাগের জাজমেন্ট এখনও বৈপরীত্য হয়নি। বৈপরীত্য যদি না হয়ে থাকে তবে এটা হাইকোর্ট ডিভিশনের জন্য বাধ্যতামূলক আদেশ।’
আদালত আজ বিএনপি আইনজীবীদের কথাই বলতে দিলেন না, এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কী জানতে চাইলে খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘সেটা আমি জানি না। সেটা উনাদের অভিযোগ। রাজনৈতিক কোনো প্রশ্ন আমাকে করা ঠিক হবে না।’
গত ১২ মার্চ (সোমবার) খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশ দেন। ওই জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক। মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) চেম্বার আদালতে গেলে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আবেদন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার (১৪ মার্চ) শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই তাকে ওই দিন বিকালে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি এখনও সেখানেই আছেন।