খালেদা জিয়াকে আপিল বিভাগ জামিন দিলেও আইনি প্রক্রিয়ায় তিনি মুক্তি পাবেন না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘মুক্তি পেতে হলে কুমিল্লার মামলাতেও খালেদা জিয়াকে জামিন পেতে হবে।’
আজ শনিবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে ৬২তম বার্ষিক সিনটিলা সায়েন্স ফেস্টিভাল ২০১৮ এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়ার মামলার আপিল (দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল) শুনানি আগামীকাল রবিবার।
আপিলে খালেদা জিয়ার জামিন হলেও অন্য মামলায় হাজিরা ওয়ারেন্ট থাকায় তিনি মুক্ত হতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘মামলাটি বিচারাধীন। তবুও আপনাদের প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে বলতে চাই, উনার (খালেদা জিয়া) একটি মামলা আগামীকাল রবিবার জামিনের (দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল) বিষয়ে শুনানির জন্য আছে। তবে আমি জানি, কুমিল্লার আরেক মামলায় তাকে উপস্থিত হয়ে জামিন নিতে হবে। তবে আগামীকাল সর্ব্বোচ্চ আদালত (আপিল বিভাগ) যদি তাকে জামিন দেন তারপরও আইনি প্রক্রিয়ায় তিনি মুক্তি পাবেন না। কারণ, ওই মামলায় (কুমিল্লায় নাশকতার মামলা) তাকে জামিন নিতে হবে। এটাই আইনের নিয়ম।’
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘উনারা দেখেছেন, সারা দেশের জনগণ দেখেছেন, আমরাও দেখেছি যে, হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ খালেদা জিয়াকে জামিন দিয়েছেন। সরকার যদি সত্যি সত্যি হস্তক্ষেপ করতো তাহলে এই জামিন কি হতো? আমরা বিচার বিভাগের কাজে কখনো হস্তক্ষেপ করিনি, কখনো হস্তক্ষেপ করবো না।’
প্রসঙ্গত: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ পেয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবাসে আছেন খালেদা জিয়া। এ মামলায় তাকে চার মাসের জামিন দিতে হাইকোর্ট আদেশ দিলেও রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশন আপিল করায় চেম্বার জজ তা খারিজ করে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখে শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান। আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ শুনানি ১৮ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত রেখে উভয় পক্ষকে লিভ টু আপিল করার নির্দেশ দেন। এদিকে, কুমিল্লায় দায়ের হওয়ায় আরেকটি নাশকতার মামলায় ১২ মার্চ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা (পি ডব্লিউ) জারি করে আগামী ২৮ মার্চ তাকে শরীরে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলার ৫নং আমলি আদালতের বিচারক মো. মুস্তাইন বিল্লা। এর ফলে ২৮ মার্চ খালেদা জিয়াকে কুমিল্লার আদালতে উপস্থিত হতেই হবে। ধারণা করা হচ্ছে এরমধ্যে জামিন না পেলে জেল কর্তৃপক্ষ পুলিশ প্রহরায় তাকে কুমিল্লায় পাঠানোর ব্যবস্থা নেবে।