জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আপিলের অনুমতি বিষয়ক আদেশ নিয়ে খালেদার আইনজীবীদের বক্তব্যকে ‘রাজনীতিকরণের চেষ্টা’ বলে উল্লেখ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আজ সোমবার (১৯ মার্চ) আপিল বিভাগের আদেশের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আদেশকে ‘নজিরবিহীন’ বলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এ ধরনের বক্তব্য নিশ্চয়ই খুব একটি ভালো উচ্চারণ নয়। জিনিসটাকে রাজনীতিকরণের জন্য তারা চেষ্টা করছেন। এখানে খালেদা জিয়াকে সমস্তরকম সুবিধা দিয়ে আদালত এ দণ্ড প্রদান করেছেন। দণ্ড প্রদানের ক্ষেত্রে আদালত যে কতখানি মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন, ন্যায়নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছেন সেটি প্রমাণ পায় তার সামাজিক মর্যাদা ও বয়স বিবেচনায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। যদিও অন্যদের ১০ বছর দিয়েছেন। কাজেই এটাকে নিয়ে যারা রাজনীতি করতে চাইছেন, তারা নিশ্চয়ই সফল হবেন না। কারণ এটা কোনো রাজনীতির বিষয় নয়। এটা সাধারণ অপরাধের বিষয়।’
অ্যাটর্নি জেনারেল নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালত শুনানির জন্য ২২ মে দিন ধার্য করেছিলেন। পরে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এগিয়ে এনে ৮ মে নির্ধারণ করেছেন। এ আদেশের প্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার এখন আর মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে না। তাকে কারাভোগ করতে হবে।’
উল্লেখ্য, আপিল বিভাগের আদেশে খালেদা জিয়ার জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদককে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদককে এবং পরবর্তী দুই সপ্তাহের মধ্যে আসামিপক্ষকে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দেওয়ার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ আপিলের শুনানির জন্য ৮ মে দিন ধার্য করা হয়েছে। একইসঙ্গে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের ওপর শুনানির দিন পর্যন্ত (৮ মে) স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।