বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সব মামলা নিষ্পত্তির জন্য সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের বাইরে বেঞ্চ গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
আজ সোমবার (১৯ মার্চ) দুপুরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় অ্যাডভোকেট ড. ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট দায়ের করেন।
এর আগে রবিবার (১৮ মার্চ) একই বিষয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী। রবিবার সন্ধ্যায় তিনি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বরাবর আবেদনটি প্রেরণ করেন।
আবেদনে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টে রাজনৈতিক মামলার শুনানি থাকার কারণে পুলিশ কোর্টের বিভিন্ন গেট দিয়ে আইনজীবী, ক্লার্ক ও মক্কেলদের ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর কিছু আইনজীবীকে ভেতরে ঢুকতে দিলেও পুলিশের অযথা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
আবেদনে আরও বলা হয়, ১৬ কোটি মানুষের জন্য উচ্চ আদালত। এখানে ফরিয়াদি পক্ষ আসবে। জনগণ আসবে। কিন্তু পুলিশের বাধার কারণে আইনজীবীদের সঙ্গে তারা মোসাবিদা করতে পারছেন না। এর ফলে পুলিশ সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করছে। তাই রাজনৈতিক মামলা নিষ্পত্তি ও শুনানির জন্য প্রয়োজনে সংবিধানের ১০০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের বাইরে অন্যত্র সার্কিট বেঞ্চ গঠন করুন।
প্রধান বিচারপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের সব গেট থেকে পুলিশ প্রত্যাহার, নারী আইনজীবীদের সঙ্গে পুলিশের অসৌজন্যমূলক আচরণের বিচার প্রার্থনা ও সংবিধানের ১০০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাজনীতিকদের সব মামলার শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য অন্যত্র উচ্চ আদালতের বেঞ্চ গঠন করার আবেদন জানান এই আইনজীবী।
এ বিষয়ে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ সাংবাদিকদের জানান, সুপ্রিম কোর্টে রাজনৈতিক মামলা চলার কারণে আমরা আইনজীবীরা অযথা হয়রানির শিকার হচ্ছি। এ কারণে খালেদা জিয়ার মামলাসহ সব রাজনৈতিক মামলার শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য সুপ্রিম কোর্টের বাইরে আলাদা বেঞ্চ গঠনের জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেছি। কিন্তু সে আবেদনের কোনও উত্তর না পেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছি।’
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে (আপিল ও হাইকোর্ট) বিভিন্ন সময়ে নিম্ন আদালতের আপিলসহ বেশ কিছু মামলার শুনানি হয়। ক্ষেত্রভেদে এসব মামলার শুনানি চলাকালে নিরাপত্তার জন্য সুপ্রিম কোর্টের প্রবেশ মুখে পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে হয়। উপযুক্ত পরিচয়পত্র না থাকায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও তাদের ক্লার্কদের বিভিন্ন সময় নাজেহাল হতে হয়েছে। তবে সবচেয়ে বিপত্তিতে পড়তে হয় সুপ্রিম কোর্টে আসা বিচারপ্রার্থীদের।