রংপুরে গৃহকর্মীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে চাকরিচ্যুত এক পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার (২৫ মার্চ) দুপুরে রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক জাবিদ হোসেন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আলতাফ হোসেন ও তার স্ত্রী সালেহা বেগম। আলতাফ হোসেন সেসময় রংপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের এএসআই ছিলেন। পরে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
সরকারপক্ষের আইনজীবী বিশেষ পিপি হাসনাইন জানান, ২০০৩ সালের ২৪ মে রাতে রংপুর নগরীর তালুকরঘু তামফাট এলাকার পুলিশের এএসআই আলতাফ হোসেন তার বাড়ির গৃহকর্মী মঞ্জিলা বেগমকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। এরপর ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এএসআই আলতাফ ও তার স্ত্রী সালেহা বেগম গৃহকর্মী মঞ্জিলার লাশ বাড়ির অদূরে একটি ধান ক্ষেতে ফেলে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ মঞ্জিলার লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতের মা রাবেয়া খাতুন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। দীর্ঘ ১৫ বছর পর এ মামলায় ১৪ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
এদিকে মামলার রায়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহত মঞ্জিলার বাবা মমিন উদ্দিন। তিনি অভিযোগ করেন বলেন, ‘দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বিচারের আশায় আদালতের বারান্দায় ঘুরেছি। গরিব হওয়ায় টাকা-পয়সা খরচ করতে পারিনি।’ তিনি আসামিদের ফাঁসির দাবি জানান।