জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা আরও বাড়াতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আবেদনের ওপর শুনানির জন্য বুধবার (আজ) দুপুর ২টায় নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।
আবেদনটি কার্যতালিকয়া আসার পর আজ বুধবার (২৮ মার্চ) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে খালেদার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
সকালে জয়নুল আবেদীন আদালতে বলেন, দুদকের আবেদনের একটা অনুলিপি যদি আমাদের দেওয়া হতো। এটা তো স্পেশাল ম্যাটার।
এ সময় খুরশীদ আলম খান বলেন, ওনারা (খালেদার আইনজীবী) শুনানিতে থাকতে চাচ্ছেন। দু’টার পরে। আমাদের কোনো আপত্তি নেই।
তখন আদালত বলেন, আপনারা নিজেরাই এটা ঠিক করে নিতে পারেন। ম্যানেজ করে নিতে পারেন। আপনারা বারের (সুপ্রিম কোর্ট বার) সদস্য। ঠিক আছে। দুইটায় আসেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) আবেদনটি উপস্থাপনের পর আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য বুধবার (২৮ মার্চ) দিন ধার্য করেছিলেন।
গত ২৫ মার্চ (রোববার) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল দায়ের করা হয়।
ওইদিন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছিলেন, এ মামলায় প্রধান আসামিকে দেওয়া হয়েছে ৫ বছর সাজা কিন্তু সহযোগিদের দেওয়া হয়েছে ১০ বছর করে। সুতরাং প্রধান আসামির সাজাটা অপর্যাপ্ত মনে করে দুদক। এ কারণে নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ হয়ে দুদক এ আপিল করেছে।
এ মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। তবে তার ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য আসামিদের দশ বছর করে কারাদণ্ড দেন।
এর আগে নিম্ন আদালতের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন বিএনপি প্রধান। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে পরদিন ১৩ মার্চ আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক।
পরে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত এ দুই আবেদনের শুনানির জন্য ১৪ মার্চ দিন