বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের তথ্য বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ—এই তিন মাসে ১৭৬টি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ৫৫টি করে এবং মার্চ মাসে ৬৬টি শিশু ধর্ষণের ঘটনা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি মাসে গড়ে ৫৫টির বেশি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে, যা আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি।
১৫টি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত শিশু অধিকার লঙ্ঘনের সংবাদ পর্যবেক্ষণ এবং বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম এ তথ্য দিয়েছে। তথ্য বলছে, তিন মাসে ধর্ষণের শিকার ১৭৬টি শিশুর মধ্যে ২০টি শিশুই গণধর্ষণের শিকার হয়। আটজন প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। তিন মাসে ২৫ শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় এবং তিনটি শিশু ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছে। এ ছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ২১টি শিশুকে।
তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের প্রথম তিন মাসে মোট ১৪৫টি (চলতি বছর ১৭৬) শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছিল, যাদের মধ্যে ৩১টি শিশু গণধর্ষণের শিকার হয়েছিল।
অর্থাৎ চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে, গত বছরের তিন মাসের চেয়ে শিশু ধর্ষণ বেড়েছে ১৮ শতাংশ। ধর্ষণের পর শিশুহত্যা বেড়েছে ১০০ শতাংশ। তবে গত বছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায়, চলতি বছর গণধর্ষণ এবং প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণ কমেছে যথাক্রমে ৫৫ শতাংশ এবং ১২ দশমিক ৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের তথ্য বলছে, চলতি বছর ধর্ষণের শিকার ১৭৬টি শিশুর মধ্যে ১-৬ বছরের ১৫ জন, ৭-১২ বছরের ৩৭ জন এবং ১৩-১৮ বছরের ৫৭ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। ৬৭ জন শিশুর বয়স পত্রিকায় উল্লেখ করা হয়নি। সবচেয়ে বেশি শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ঢাকা জেলায় (২৫টি)। ধর্ষকদের বয়স পর্যালোচনা অনুযায়ী, (যাদের বয়স পত্রিকায় উল্লেখ ছিল) ১৮ জনের বয়স ছিল ১৮ বছরের কম। ৫৬ জনের বয়স ১৮-৩০ বছরের মধ্যে, ২০ জনের বয়স ৩১-৪৫ বছরের মধ্যে এবং ১১ জনের বয়স ছিল ৪৫ বছরের বেশি।