কৃষ্ণসার প্রজাতির হরিণ শিকার মামলায় দোষী সাব্যস্ত বলিউড সুপারস্টার সালমান খানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভারতের যোধপুর আদালত। একইসঙ্গে ১০ হাজার রুপি জরিমানা করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) প্রধান বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট দেব কুমার খত্রি ২৮ জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
এছাড়া ২০ বছরের পুরনো এই মামলায় অভিনেতা সাইফ আলী খান ও অভিনেত্রী টাবু, সোনালি বেন্দ্রে ও নীলমকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
এর আগে গত ২৮ মার্চ মামলার চূড়ান্ত আবেদন যোধপুরের একটি গ্রাম্য আদালতে সম্পন্ন হয়।
এই মামলায় সালমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, ১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ে যোধপুর প্রদেশের কাঙ্কানি গ্রামে গিয়েছিলেন। শুটিং চলাকালে ১ ও ২ অক্টোবর রাতে আলাদা আলাদা দুটি জায়গায় সালমান কৃষ্ণসার শিকার করেন।
এ সময় তার সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন সহ-অভিনেতা সাইফ আলি খান, সোনালি বেন্দ্রে, টাবু ও নিলম।
মামলার অন্য এক আসামি ধুশিয়াত সিংও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ধুশিয়াতের ওপর অভিযোগ আনা হয়, তিনি সালমানসহ অন্য অভিনেতাদের হরিণ শিকার করতে নিয়ে গিয়েছিলেন।
পিটিআই-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দাবাং খান ভারতীয় বন্যপ্রাণী প্রতিরক্ষা দণ্ডবিধির ৫১ ধারার সম্মুখীন হয়েছেন। এই ধারা মোতাবেক তার সর্বোচ্চ ছয় বছর পর্যন্ত জেল হতে পারতো।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে আদালতে উপস্থিত হন সালমান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন দুই বোন অলবিরা ও অর্পিতা। রায়ের আগে দেখা যায়, নিজ চেম্বারে বসে প্রার্থনা করছেন সালমানের উকিল।
কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলায় অভিযুক্তরা গতকাল বুধবার যোধপুর চলে আসেন।