যোদপুরের আদালতে শুক্রবার সকালে ৫১ পাতার জামিন আবেদন নিয়ে হাজির হয়েছিলেন সালমান খানের আইনজীবী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জামিন পাননি সালমান। ফলে শুক্রবারের রাতটিও কারাগারে কাটাতে হচ্ছে এই বলিউড সুপারস্টারকে।
শুক্রবার দুপক্ষের শুনানির পর রায় স্থগিত রাখেন বিচারক রবীন্দ্র কুমার জোশি। আদালত বলেন, শনিবার সালমানের জামিন আবেদনের বিষয়ে রায় দেওয়া হবে।
সালমান খানের আইনজীবী বলেন, আদলত এ মামলার পূর্ণাঙ্গ রেকর্ড শুনতে চেয়েছেন। এটি শোনার পর শনিবার আদালত রায় দেবেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রায় ঘোষণার পরপরই সালমানকে যোধপুর কারাগারে নেওয়া হয়। ২০০৬ সালেও এই যোধপুর কারাগারে পাঁচরাত কাটাতে হয়েছিল সালমানকে।
যোদপুর কারা তত্ত্বাবধায়ক বিক্রম সিং বলেন, সেলিব্রেটি হওয়ার কারণে সালমানকে কারাগারে বিশেষ কোনো সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। আর দশজন বন্দীর মতোই তিনি সুবিধা পাচ্ছেন। তার কক্ষে কাঠের বিছানা, কম্বল ও কুলার দেওয়া হয়েছে। তার কয়েদি নম্বর ১০৬।
এদিকে সালমান খানের পাঁচ বছরের সাজা হওয়ায় বড় অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলিউডের বেশ কয়েকজন প্রযোজক ও পরিচালক। অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে বেশ কয়েকটি ছবির শুটিং ও মুক্তি।
২০ বছর আগের কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার সালমান খানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় যোধপুরের আদালত। একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পান বলিউড তারকা টাবু, নীলম, সোনালি বেন্দ্রে ও সাইফ আলি খান।
ভারতের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ৯/৫১ ধারায় দোষী প্রমাণিত হন সালমান। এই আইনে সর্বোচ্চ ৬ বছর ও সর্বনিম্ন ১ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
১৯৯৮ সালের অক্টোবরে যোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং চলাকালে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ ওঠে সালমান খানের বিরুদ্ধে। একই অভিযোগ ওঠে সাইফ আলি খান, টাবু, নীলমসহ একাধিক তারকার বিরুদ্ধে। কৃষ্ণসার হরিণ ভারতের বিশনয় সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে পূজনীয় প্রাণী। তারা এই হরিণের পূজা করেন। সালমান খানের যাতে সাজা হয় সেজন্য দীর্ঘদিন ধরে এই মামলার পেছনে লেগে ছিলেন বিশনয় সম্প্রদায়ের মানুষ।