ক্ষমতার অপপ্রয়োগ ও বলপ্রয়োগের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন হাই। তার বিরুদ্ধে আনা মামলার রায় দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আদালতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় পার্ককে ২৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে পার্ককে ১ কোটি ৭০ লাখ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। শুক্রবার তার অনুপস্থিতিতেই রায় ঘোষণা করে আদালত। কারণ বিচারের রায় শুনতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন পার্ক। আদালতে পার্কের রায় সরাসরি সম্প্রচার করার ঘটনা ছিল নজিরবিহীন। দেশজুড়ে এই রায় নিয়ে জনগণের মধ্যে উৎসাহের কমতি ছিল না।
তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি-সম্পর্কিত ১৮ টি অভিযোগ আনা হয়। পার্ক প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থাতেই ক্ষমতার অপপ্রয়োগ এবং দুর্নীতি কেলেঙ্কারীতে জড়িয়ে পড়েন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর থেকেই তা নিয়ে রাজনীতিবিদ, শীর্ষ ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগে পার্কের ঘনিষ্ঠ বন্ধু চোই সুন সিল’কে দুর্নীতির অভিযোগে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় দেশটির আদালত। অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদানের নামে ৬৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার ঘুষ নেয়ার অভিযোগ আছে চোই সুন সিলের বিরুদ্ধে। আর তিনি সেটা করেছেন পার্ক গিউনের নাম ভাঙিয়ে।
স্যামসাং ও হুন্দাই-এর মতো কোম্পানির কাছ থেকে চাপ প্রয়োগ করে ঘুষ নিয়েছেন তিনি। পরে সেই অর্থ দেয়া হয় সন্দেহভাজন এক প্রতিষ্ঠানকে। তখন থেকেই পার্কের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগে মামলা চলে আসছে।
এর আগে দেশটির প্রসিকিউটররা বলেছেন, সমস্ত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পার্ককে ৩০ বছর পর্যন্ত জেল খাটতে হতে পারে। সেই সঙ্গে তাকে লাখ লাখ ডলার জরিমানাও গুনতে হবে। তবে বরাবরই নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন পার্ক। তার অভিযোগ, আদালত তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে।