কৈশোরের প্রেম-প্রণয়কে বিয়ের বন্ধনে রূপ দিয়েছিলেন হ্যারল্ড হল্যান্ড আর লিলিয়ান বার্নেস। একে একে পাঁচ সন্তানের জন্মও দেন তাঁরা। কিন্তু হঠাৎ কী এক কারণে শুরু হয় টানাপড়েন। বিয়ের ১২ বছর পর ভেঙে যায় তাঁদের ভালোবাসার সংসার।
তাই বলে কি ভাবছেন ফুরিয়ে গেছে এই দম্পতির ভালোবাসা? মোটেই নয়; বরং এতই জোরালো তাঁদের ভালোবাসা, যেখানে বয়স কোনো মানেই রাখে না।
বিচ্ছেদের ৫০ বছর পর এখন হল্যান্ডের বয়স ৮৩ আর বার্নেসের ৭৯। তাতে কী? নতুন করে বিয়ে করছেন এই প্রেমিক যুগল। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকিতে হচ্ছে এই বিয়ে।
‘৫০ বছরে একটুও বদলায়নি ও। ও অসাধারণ সুন্দরী ছিল। ধূসর চোখের সঙ্গে কালো চুল ছিল ওর। এখনো একই আছে। শুধু চুলগুলো সাদা হয়েছে। আমারও,’ এভাবেই ভালোবাসার মানুষটির সৌন্দর্যের বর্ণনা করছিলেন হল্যান্ড।
হল্যান্ড জানালেন তাঁর যৌথ পরিবারে ১০টির বেশি সন্তান রয়েছে। ২০ জনের বেশি নাতি-নাতনি রয়েছে তাঁদের। হল্যান্ড আসলে ঠিক্ঠাক সংখ্যাটা মনে করতে পারছিলেন না।
তবে সবাইকে ডেকে বিয়ের খবরটা যখন জানালেন, বাচ্চারা তখন উচ্ছ্বসিত। হল্যান্ড বলেন, দাদিমা, দাদাভাই বিয়ে করছেন শুনে বাচ্চারা অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। তাঁদের বিয়েতে ঠিক কতজনকে নিমন্ত্রণ জানানো হবে, ভালো করে জানেন না হল্যান্ড। তবে তিনশর মতো অতিথি থাকতে পারে বলে জানান তিনি। হাসতে হাসতে বলেন, ‘লোকজন বলছে, আমরা দাওয়াত দিই বা না দিই তাঁরা আসবেনই।‘
হল্যান্ড বলেন, ‘আমাদের বিবাহবিচ্ছেদের পর থেকেই আমি ভাবতাম, বার্নেস আমার দিকে আর ফিরেও তাকাবে না। আমি সব সময় বলেছি, সব আমার ভুল ছিল। প্রথম প্রেম এমনই, এর থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন।’
এই দম্পতির নাতি জশুয়া হল্যান্ড (৩৪) বলেন, ‘আমি তাদের কয়েক মাস আগে দেখি এবং আমি আপনাদের বলছি, এটা অসম্ভব সুন্দর একটা সম্পর্ক। ওরা একে অপরকে হানি, সুগার, বেবির মতো আদুরে নামে ডাকে। একজন আরেকজনকে দেখলে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে ওদের মুখ। মনে হয় যেন, দুই কিশোর কিশোরী প্রেম করছে। হাত ধরে হাঁটে, একে অন্যের সঙ্গে ঠাট্টা করে।’