কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় দু’দিন কারাভোগের পর আদালত থেকে জামিন পেলেন বলিউড সুপারস্টার সালমান খান।
আজ শনিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরের পর তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারিক আদালত।
এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজস্থান রাজ্যের যোধপুরের বিচারিক আদালতে সালমানের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়। শুনানির পর আদালত প্রথমে দুপুর আড়াইটায় আবেদনের ওপর আদেশ দেওয়ার কথা বলেন। পরে তা আরও এক ঘণ্টা বাড়িয়ে সাড়ে ৩টায় নির্ধারণ করা হয়।
সেসময় আদেশ প্রদানকালে আদালতে সালমানের আইনজীবীসহ উপস্থিত ছিলেন তার দুই বোন আলভিরা ও অর্পিতা খান শর্মা। তাদের আদালতে নিয়ে আসেন সালমানের দেহরক্ষী শেরা।
জামিন পাওয়ায় সালমান শনিবারই বাড়ি ফিরবেন কি-না, তা স্পষ্ট নয়। তবে তার স্বজনরা সেই আশাই করছেন।
সালমানের জামিন আবেদনের শুনানি প্রথমে কিছুটা দোলাচলে পড়ে যায় বিচারিক আদালতের জজ রবীন্দ্র কুমার জোশীকে বদলির নির্দেশ দেওয়া হলে। বদলির প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে সাত দিন সময় লাগে বিধায় শেষতক জোশীর এজলাসেই হয় শুনানি।
১৯৯৮ সালে সুরজ বরজাতিয়া পরিচালিত ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির দৃশ্যধারণ চলাকালে ‘থর’ মরুভূমির শহর যোধপুরের কাছে কঙ্কনী গ্রামে বিরল প্রজাতির দু’টি কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগ ওঠে সালমান খানের বিরুদ্ধে। পরে ১৯৯৯ সালে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। এতে সালমান ছাড়াও আসামি করা হয় সাইফ আলী খান, টাবু, সোনালি বেন্দ্রে ও নীলমকে।
প্রাথমিক বিচার প্রক্রিয়ায় ২০০৭ সালে যোধপুর কারাগারে ঢুকতে হয় সল্লুকে। তারপর জামিনে মুক্ত হন তিনি। গত বছর এই মামলায় নির্দোষ প্রমাণ হন তিনি। কিন্তু পরবর্তীতে ওই রায়ের ওপর আবারও আপিল করা হয়।
আপিলের প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ২৪ মার্চ দুই পক্ষের প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ হয়। এরপর ৫ এপ্রিল চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে সালমানকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার রুপি অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস দেওয়া বাকি আসামিদের।