বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সব স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাকে আবার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) নাজমুল আলম গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।
আজ শনিবার (৭ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খালেদা জিয়া বিএসএমএমইউতে প্রবেশ করেন। তাকে কারাগার থেকে সরাসরি এই হাসপাতালে আনা হয়। হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা থাকলেও খালেদা জিয়া পায়ে হেঁটেই হাসপাতালে প্রবেশ করেন। তাকে কেবিন ব্লকের ৫১২ নম্বর কেবিনে নেওয়া হয়। সেখানে তার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের পাঁচ জন সদস্যও উপস্থিত রয়েছেন। আলাপ-আলোচনা শেষে তার রক্তের নমুনা নেওয়া হয় পরীক্ষার জন্য। কেবিন ব্লকের প্যথলজি বিভাগে রক্ত পরীক্ষা করা হবে। তার এক্সরেও করা হয়েছে। কেবিন ব্লকের পাশে রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগে নিয়ে তার এক্সরে করানো হয়। রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের ১/এ নম্বর রুমে এক্সরে করা হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কারা কর্তৃপক্ষ নিয়োজিত চিকিৎসক ডা. ফয়জুর রহমান, ডা. মামুন, ডা. এম আলী, ডা. এস এম সিদ্দিক এই চার জন খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলছেন।
এদিকে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও তার মেয়ে বিএসএমএমইউতে অপেক্ষা করছেন। তারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চাইলেও পুলিশ বাধা দিচ্ছে। কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া খালেদা জিয়ার সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেওয়া হবে না বলেও পুলিশ জানিয়েছেন।
বিএসএমএমইউ এর বাইরে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা দেখা গেছে। খালেদা জিয়ার আসার খবরে হাসপাতাল ও শাহবাগ এলাকায় বিএনপি’র কর্মী ও সমর্থকদের ভিড় দেখা যায়। পুলিশ নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিন-চারজনকে আটক করে।
এদিকে শনিবার সকাল থেকেই নাজিমউদ্দিন রোডে পুরাতন কারাগার থেকে শাহবাগ পর্যন্ত রাস্তায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যেসব অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল সেগুলো পিছিয়ে দেওয়া হয়। বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয় বিএসএমএমইউ হাসপাতালেও।