চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপন এবং দেশের প্রতিটি প্রশাসনিক বিভাগে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ গঠনে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সারাদেশের মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা প্রতিবেদন আকারে আদালতকে অবহিত করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ রোববার (৮ এপ্রিল) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মহিদুল কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
উন্মুক্তস্থানে মেডিকেল বর্জ্য রাখা বিষয়ক একটি ইংরেজি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে মো. এ সালাম তালুকদারের ছেলে পশ্চিম রামপুরার বাসিন্দা মো. আল আমীন এ রিট করেন।
পরে এক বিজ্ঞপ্তিতে সৈয়দ মহিদুল কবির বলেন, রুলে পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ১৯৯৭ এর ৭(৬)(গ)(আ) অনুসারে কেন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়া) বিধিমালা ২০০৮ এর ৩ বিধি অনুসারে দেশের প্রতিটি প্রশাসনিক বিভাগে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
বন ও পরিবেশ সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতির মহাসচিবকে আগামী ২২ জুলাইয়ের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ২৬ জুলাই দিন ঠিক করা হয়েছে।