বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া (ফাইল ছবি)
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া (ফাইল ছবি)

বিস্ফোরক আইনের মামলায় খালেদাসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জ শুনানি ৩ জুন

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের ঘটনায় দায়ের করা বিস্ফোরক আইনের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জ শুনানির জন্য আগামি ৩ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মামলাটিতে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকায় আজ রোববার (৮ এপ্রিল) ঢাকার ৬ নম্বর মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল বিচারক নুরুল আমিন বিপ্লব চার্জ শুনানি পিছিয়ে এ দিন ধার্য করেন।

২০১৫ সালের ৬ মে’র ওই ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলায় চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বশির আহমেদ।

চার্জশিটে খালেদা জিয়াকে প্রধান আসামি করা হয়। উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য (প্রয়াত) এমকে আনোয়ার, যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ (বর্তমান সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব), বরকত উল্লাহ বুলু (বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান), আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন (বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান), শওকত মাহমুদ (বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান), বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা মীর আবু জাফর শামসুদ্দিন দিদার, বর্তমান স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী খান সপু, বর্তমান ঢাকা মহানগর বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, সাবেক এমপি সালাহউদ্দিন আহমেদ, তার ছেলে তানভীর ওরফে রবিন, নবীউল্লাহ নবী, কাইয়ূম কমিশনার, লতিফ কমিশনার এবং পেশাজীবী দলের নেতা সেলিম ভূঁইয়া।

২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা ছোড়া হলে বাসটির ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হলে ১ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূর আলম (৬০) নামে একজন।

এ ঘটনায় ২৪ জানুয়ারি বিকেলে খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন থানার উপ-পরিদর্শক কে এম নুরুজ্জামান।