জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের দ্রুত বিচারের জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুটি সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে সরকার। ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯’ এর ২৮ ধারা অনুযায়ী এই ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে এই ট্রাইব্যুনাল গঠন করে আদেশ জারি করা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের আওতায় ঢাকা মহানগরী এলাকাসহ সমগ্র ঢাকা জেলা থাকবে।
অপরদিকে চট্টগ্রামের সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের আওতায় চট্টগ্রাম মহানগরী এলাকাসহ সমগ্র চট্টগ্রাম জেলা থাকবে।
প্রায় পাঁচ বছর ধরে অর্থ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর দুটি ট্রাইব্যুনাল গঠিত হলো। যদিও আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব বিভাগে একটি করে এই ধরণের ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রস্তাব ছিলো।
মহানগরী এলাকাসহ ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা ছাড়া অন্যান্য সকল জেলার মামলাগুলোর বিচার সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ২৭ ধারা অনুযায়ী হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, মহানগরী এলাকাসহ ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলার বিচারাধীন মামলাগুলো যে আদালত বা ট্রাইব্যুনালেই বিচারাধীন থাকুক এই প্রজ্ঞাপন জারির ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এই ট্রাইব্যুনালের অধীনে চলে আসবে।
স্থানান্তরিত কোনো মামলা বিচারের ক্ষেত্রে মামলাটি যে পর্যায়ে স্থানান্তরিত হবে সেই পর্যায় থেকেই ওই মামলার বিচার কাজ শুরু করবে ট্রাইব্যুনাল।
যে আদালত থেকে মামলা স্থানান্তর করা হবে সেই আদালতের গ্রহণ করা সাক্ষ্য-সাবুদ ট্রাইব্যুনালের সাক্ষ্য-সাবুদ বলে বিবেচিত হবে।
সুবিচারের জন্য প্রয়োজন না হলে এ ধরণের সাক্ষ্য-সাবুদ ফের গ্রহণ করার প্রয়োজন হবে না বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
আইন ও বিচার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ দুই ট্রাইব্যুনালের জন্য ইতোমধ্যে ১২টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এর মধ্যে জেলা ও দায়রা জজ পদ মর্যাদার দুই জন বিচারক থাকবেন।
এছাড়া সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর দুটি, বেঞ্চ সহকারী দুটি, আউটসোর্সিং গাড়ি চালক দুটি, আউটসোর্সিং জারিকারক দুইটি ও এমএলএসএসের দুইটি আউটসোর্সিং পদ রয়েছে।
এছাড়া দুটি ট্রাইব্যুনালে দুটি কার, দুটি কম্পিউটার, দুটি ফটোকপিয়ার ও দুটি ফ্যাক্স মেশিন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।