রিটকারী আইনজীবীর বক্তব্য না শুনেই মামলার রায়ের দিন ধার্য করায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গতকাল সোমবার (৯ এপ্রিল) এক আবেদনের মাধ্যমে আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ এ অভিযোগ করেন।
পরে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘২০১৭ সালের ২৫ এপ্রিল সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন কর্তৃক এক ডিও লেটারের (সুপারিশ পত্র) মাধ্যমে গোলাম আশরাফ তালুকদারকে ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডি সভাপতির পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। ৩০ এপ্রিল তিনি নিয়োগ পান। পরে ডিও লেটারের মাধ্যমে ওই নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করি।
আদালত সেই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন। গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট এ রুল দেন। পরে সেই রুল বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে রুল শুনানির জন্য মামলাটি সোমবার (৯ এপ্রিল) হাইকোর্টের কজ লিস্টের (কার্যতালিকা) ১৭১ নম্বরে রাখা হয়। তবে আদালত মামলাটির রুলের ওপর আজ মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) রায়ের দিন নির্ধারণ করেন।
ইউনুছ আলী বলেন, ‘আদালত মামলাটির শুনানি না করে তা রায়ের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন। তখন আমার জুনিয়র আইনজীবী আসমা আহমেদ মামলাটির রুল শুনানির জন্য আদালতের কাছে সময় চান। কিন্তু আদালত কোনও সময় না দিয়ে এবং শুনানি না করেই মামলাটির রায়ের দিন ধার্য করেন।’
পরে এ বিষয়টি নিয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করি এবং এফিডেবিট আকারে একটি আবেদন দিয়ে তাকে জানাই। প্রধান বিচারপতি আবেদনটি জমা রাখেন বলেন, ‘আমি বিষয়টি দেখবো।’
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট আপিল বিভাগ অন্য মামলার রায়ে এক সংসদ সদস্যের ডিও লেটার অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছিলেন।
এছাড়াও গত ৯ জানুয়ারি বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও একেএম জহিরুলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ডিও লেটারের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের উইসুফগঞ্জ স্কুলের গভর্নিং বডির সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলার সভাপতির পদ অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছিলেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন গোলাম আশরাফ তালুকদারকে দেওয়া ডিও লেটারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটে করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। বাংলা ট্রিবিউন