ঢাকার ধামরাইয়ে চলন্ত বাসে এক পোশাক শ্রমিককে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার বাসচালক বাবু মল্লিকসহ পাঁচ আসামিকে জিজ্ঞাবাদের জন্য তিন দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) আসামিদের বিরুদ্ধে চাওয়া সাত দিনের হেফাজতের আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আতিকুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
আগের দিন ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের সাত দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধামরাই থানার পরিদর্শক মো. জাকারিয়া।
সেই সঙ্গে ধর্ষিত পোশাক শ্রমিক জ্যেষ্ঠ বিচারকি হাকিম মনিকা খানের খাস কামরায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে জবানবন্দি দেন।
এই মামলার আসামিরা হলেন- ‘যাত্রীসেবা’ বাসের চালক বাবু মল্লিক, তার সহকারী বলরাম দাস, আবদুল আজিজ সোহেল ও মকবুল হোসেন।
রোববার রাত ১২টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের কচমচ এলাকায় চলন্ত বাসটি থামিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই পোশাক শ্রমিককে উদ্ধারের পাশাপাশি চালকসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ধামরাই থানার এসআই মলয় সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, রাতে কারখানায় কাজ শেষে ধামরাইয়ের ইসলামপুর থেকে ‘যাত্রীসেবা’ নামের লোকাল বাসটিতে উঠেন ওই পোশাক শ্রমিক। বাসটি ধামরাইয়ের কালামপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে ওই পাঁচজন ছাড়া সবাই নেমে যায়। এরপর বাসের হেলপার দরজা বন্ধ করলে চালক বাসটি মহাসড়কে উদ্দেশ্যবিহীন ভাবে চালাতে শুরু করে।
“এর মধ্যেই তারা পাঁচ জন পালাক্রমে ওই নারীকে ধর্ষণকে। ওই নারীর চিৎকার শুনে একটি পেট্রোল পাম্পের কর্মীরা ধামরাই থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশের চারটি পৃথক দল বাসটি ধাওয়া করে বাসটিকে কচমচ এলাকায় ধরে ফেলে।”