নিম্ন আদালতের ১৫ জন বিচারকসহ ১৮ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের গাড়ী দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে জেলা জজদের ১৫টি টয়োটা গাড়ি ও জাজশিপের জন্য তিনটি মাইক্রোবাসের চাবি হস্তান্তর করা।
আজ বুধবার (১১ এপ্রিল) আইন মন্ত্রণালয়ের সামনে সচিবালয় প্রাঙ্গণে গাড়ির চাবি হস্তান্তর করেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
এ সময় আইনমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর আমরা জুডিসিয়ারি ইনফ্রাসট্রাকচার এর ব্যাপারে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। এরমধ্যে আমরা অবকাঠামো তৈরি করি। জেলা জজদের গাড়ি দিয়েছি। গতবছরও আমরা দিয়েছি। আজকে (বুধবার) আমরা ১৮টি গাড়ি দিয়েছি। এরমধ্যে ১৫টি জেলা জজদের। আর তিনটি জাজশিপের জন্য। এগুলো হলে বিচার বিভাগ কাজ করার ক্ষেত্রে এগিয়ে যাবে। বিচারপ্রার্থীরা দ্রুত সেবা পাবে।’
খালেদা জিয়ার জামিন নামঞ্জুরের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিচারাধীন মামলা নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। তবে এটুকু বলতে চাই আদালত পুরোপুরি স্বাধীন। তারা স্বাধীনভাবেই সিদ্ধান্ত দেয়।
‘হাইকোর্ট, বিজ্ঞ জেলা জজ বা আপিল বিভাগ উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেই সিদ্ধান্ত নেন। এখানে সরকারের কিছু করার নেই। যেটা পিপির বক্তব্য সেটি আদালতে দেয়া হয়। আদালত পিপি এবং আসামিপক্ষের বক্তব্য শুনেই সিদ্ধান্ত নেন। সেখানে সরকারের কিছু করার নেই,’ব্যাখ্যা দেন আইনমন্ত্রী।
কোটা পদ্ধতি সংস্কার আন্দোলন নিয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘কোটা নিয়ে যে আন্দোলন হয়েছে সেটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী, আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্য ওবায়দুল কাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছেন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করার জন্য। তিনি ৭ মে পর্যন্ত সময়ের কথা বলেছেন। কোটার ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। আগামী মাসের সাত তারিখের মধ্যে একটা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
‘আমি আন্দোলনকারীদের স্নেহের সঙ্গে বলবো যেহেতু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তিনি এটা দেখবেন। নিশ্চয়ই তিনি এটা দেখবেন। তবে আমার কাছে আইনি দিকটা যখন আসবে সেটা আমি দেখবো। নিশ্চয়ই আমি সেটা নির্দেশিত হয়ে পরিষ্কার করবো’ যোগ করেন আইনমন্ত্রী।