অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে সারা বিশ্বে মৃত্যুদণ্ড প্রদানের হার কমেছে। এমনকি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংখ্যাও কমেছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে গত বছর মোট ৯২৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এই সংখ্যা অনেক বেশি হলেও ২০১৬ সালের তুলনায় ৪ শতাংশ কম।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সর্বোচ্চ শাস্তি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ওলুয়াটোসিন পপুলা বলছেন, অনেক বিচারকার্য স্থগিত রয়েছে। যে দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ওই দেশগুলোই ২০১৭ সালে কম মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। অ্যামনেস্টির তথ্য অনুযায়ী এই হার ইরানে আগের বছরের চেয়ে ১১ শতাংশ এবং পাকিস্তানে ৩১ শতাংশ কম। এ ছাড়া সৌদি আরবেও মৃত্যুদণ্ডের হার কমেছে।
এ তিন দেশে মৃত্যুদণ্ডের হার কমার জন্য কয়েকটি কারণেকে প্রধান মনে করছেন পপুলা। তার মতে, মাদক সম্পর্কিত অপরাধগুলো বিচারের জন্য ইরানে বিচার ব্যবস্থায় পুনর্গঠন মৃত্যুদণ্ড হার কমাতে ভূমিকা রেখেছে। তবে সৌদি ও পাকিস্তানে এ হার কমার প্রকৃত কারণ ব্যাখ্যা করা কঠিন।
পপুলা বলছেন, তবে সব চেয়ে বড় কথা ২০১৭ সালে মৃত্যুদণ্ডের হার সারা বিশ্বেই কমেছে। মিসরেও এ হার ২০ শতাংশ কমেছে বলে দাবি করেছে অ্যামনেস্টি।
মৃত্যুদণ্ড কমার কথা জানালেও অ্যামনেস্টিই বলছে এটিই প্রকৃত সংখ্যা নয়। যে ঘটনাগুলো সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া গেছে তার উপর ভিত্তি করে নির্ণীত এখানে ন্যূনতম একটা সংখ্যা দেখানো হয়েছে।
২০১৭ সালে বিশ্বের মোট ২৩টি দেশ মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দিয়েছে। তবে যে দেশটি বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড দেয়, সেই চীনের তথ্য নেই অ্যামনেস্টির এই প্রতিবেদনে। ফলে অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে প্রকৃত সংখ্যা উঠে আসেনি।
অ্যামনেস্টি বলছে, বিশ্বজুড়ে ৯৯৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড প্রদানের যে তথ্য রয়েছে তাতে চীনে সম্ভাব্য হাজারো মানুষকে মৃত্যুদণ্ড প্রদানের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত নয়। সূত্র: ডয়চে ভেলে।