পহেলা বৈশাখে বিভিন্ন উৎসব আয়োজনকে ঘিরে রাজধানীতে র্যাবের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি দুটি বড় স্থানে থাকবে মোবাইল কোর্ট। যৌন হয়রানিসহ অন্যান্য অপরাধে তাৎক্ষণিক সাজার ব্যবস্থা করতে রমনা বটমূল ও হাতিরঝিল এলাকায় র্যাবের মোবাইল কোর্ট থাকবে। এছাড়া সার্বিক নিরাপত্তায় র্যাবের হেলিকপ্টার ও সাদা পোশাকে টহলসহ বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হযেছে। র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আজ শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) রমনা বটমূলে পহেলা বৈশাখে র্যাবের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
র্যাব ডিজি বলেন, ‘একাধিক স্থানে উৎসব আয়োজনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ চ্যালেঞ্জিং হলেও সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেই নিরাপত্তার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রাজধানীর রমনা বটমূল, রবীন্দ্র সরোবর, পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পহেলা বৈশাখের আয়োজন থাকবে। একসঙ্গে রাজধানীর অনেকগুলো স্থানে এই উৎসব আয়োজনের নিরাপত্তা দেওয়া চ্যালেঞ্জিং। দেশবাসীর নিরাপত্তায় আমরা এই চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করেছি। রমনা বটমূলসহ রাজধানীর যেসব স্থানে বড় অনুষ্ঠান হবে সেখানে ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে র্যাবের ট্রুপস অ্যান্ড অপস থাকবে। আগে থেকেই আমরা কাজ শুরু করেছি। সাদা পোশাকে র্যাব সদস্যরা অবস্থান করছেন। আজকেও মহড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামীকাল পহেলা বৈশাখের দিনও এই নিরাপত্তা থাকবে।’ .
পহেলা বৈশাখের উৎসব আয়োজনে র্যাবের নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আমরা রমনা বটমূলের পাশাপাশি হাতিরঝিলেও কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছি। রমনা লেকে ডুবুরি দল থাকবে, পেট্রোল দল থাকবে। রমনা হাতিরঝিলে জেড স্কি দিয়ে পেট্রোল করা হবে। যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে। পাশাপাশি আমরা আকাশ থেকে পর্যবেক্ষণ করবো। হেলিকপ্টার পেট্রোলিং করবে। মঙ্গল শোভাযাত্রার সময় আকাশে র্যাবের হেলিকপ্টার টহল দেবে। আমাদের সাদা পোশাকে, ফুট পেট্রোল, অবজারবেশন পোস্ট থাকবে। সিসিটিভির মাধ্যমে আমরা পুরো অঞ্চলকে পর্যবেক্ষণ করব। আশপাশের বসতি ও হোটেলগুলোতে আমাদের অভিযান চলছে। সন্দেহভাজনদের ধরার জন্য এই অভিযান। জঙ্গিবাদী কার্যক্রমের ওপর আমরা দৃষ্টি রাখছি।’
এছাড়া যৌন হয়রানির মতো অপরাধ ঠেকাতে রমনা ও হাতিরঝিলে মোবাইল কোর্ট থাকবে বলে জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক।
মিডিয়াতে যাতে কেউ উসকানি ছড়াতে না পারে সেজন্য বিভিন্ন মিডিয়া পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানান র্যাবের ডিজি। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন মিডিয়াতে কে কী বলছে সেগুলো আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক, সোশ্যাল মিডিয়া পর্যবেক্ষণ করছি। কেউ যদি উসকানিমূলক আচরণ করে তাহলে যাতে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।’
কোনও হুমকি রয়েছে কিনা জানতে চাইলে বেনজির আহমেদ বলেন, ‘কনক্রিট থ্রেটের খবর আমাদের কাছে নেই। তবে জোরলো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার কারণ যাতে মানুষের মধ্যে আস্থা আসে।’
নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি রমনা ও হাতিরঝিলে বয়স্ক, নারী ও শিশুদের বিশ্রামের জন্য বৈশাখী লাউঞ্জ তৈরি করা হয়েছে। এ বিষয়ে বেনজির আহমেদ বলেন, ‘আমরা প্রথমবারের মতো রমনা বটমূল সংলগ্ন স্থানে বৈশাখী লাউঞ্জ করেছি। যেখানে ক্লান্ত হওয়ার পর বয়স্ক ও নারী-শিশুরা বিশ্রাম নিতে পারবেন। এধরনের ব্যবস্থা আমরা হাতিরঝিলেও রাখবো।’