বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রথম একটি পরিবারকে দেশে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমার। জাতিসংঘ অবশ্য বলে আসছিল রোহিঙ্গাদের এখন দেশে ফেরা নিরাপদ নয়।
গেল বছরের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইনে নৃশংস সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে।
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ‘জাতিগত নিধনের’ অভিযোগও তোলে জাতিসংঘ। মিয়ানমার অবশ্য এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
মিয়ানমার বলছে, পাঁচ সদস্যের এক পরিবার শনিবার প্রত্যাবাসন ক্যাম্পে পৌঁছালে তাদের প্রয়োজনীয় উপকরণ ও ‘আইডি কার্ড’ দেয়া হয়েছে।
রোহিঙ্গা সঙ্কট শুরুর পর আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসনের ঘটনা এটিই প্রথম।
১০ রোহিঙ্গাকে হত্যার ঘটনায় সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগে এই মাসের শুরুর দিকে ৭ সেনাকে কারাদণ্ড দিয়েছে মিয়ানমার।
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে সংখ্যালঘু মুসলিম জাতি। তবে মিয়ানমার তাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। বরং মিয়ানমারের দাবি, রোহিঙ্গা বাংলাদেশ থেকে ঢুকে পড়া অবৈধ অনুপ্রেবশকারী।
শনিবার মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ একটি ছবিও প্রকাশ করেছে যেখানে একটি ‘মুসলিম’ পরিবারকে ‘জাতীয়তা যাচাইকরণ কার্ড’ নিতে দেখা যাচ্ছে । মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের বোঝাতে রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করে না।
তবে এই কার্ডটি ওই দেশের নাগরিকত্বের প্রমাণ দেয় না এবং বাংলাদেশ ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতারা ওই কার্ড প্রত্যাখ্যান করেছে।
গত বছরের গত ২৫ আগস্ট রাতে পুলিশ পোস্টে হামলার পর থেকেই বিভিন্ন রোহিঙ্গা গ্রামে নির্বিচারে হত্যা-ধর্ষণ ও নিপীড়ন শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এতে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা শুরু করে রোহিঙ্গারা।
পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা জানান, সেনা সদস্যরা বিভিন্ন রোহিঙ্গা বসতিতে গিয়ে পুরুষদের গলা কেটে হত্যা, নারীদের ধর্ষণ করছে। এ ছাড়া পুরো গ্রাম জ্বালিয়ে দিচ্ছে।