গাজীপুরে বহুল আলোচিত বিল্লাল ওরফে বিলু হত্যা মামলায় ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ে একই ধারায় মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
আজ সোমবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক ড. ফজলে এলাহী ভূঁইয়া এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরসাদী এলাকার মৃত তালেব আলীর ছেলে ফালান, সোয়াদ আলীর ছেলে আব্দুল কাদির ও ছাদির আলী, নিজাম উদ্দিনের ছেলে কালাম, একই এলাকার আলফাজ উদ্দিনের ছেলে বাজিত, আজিজ ও ওসমান, খোদে নেওয়াজের ছেলে আব্দুস সামাদ, নিজাম উদ্দিনের ছেলে হুমায়ুন, মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে মানিক, নিজাম উদ্দিনের ছেলে আলম, ইশ্বরপুর গ্রামের আমির আলীর ছেলে রুস্তম ও একই গ্রামের অহিদ আলীর ছেলে ফারুক।
রায় ঘোষণাকালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কাদির, ছাদির, কালাম, বাজিত, ওসমান, হুমায়ুন ও রুস্তম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর ছয়জন প্রধান আসামি ফালান, আব্দুল আজিজ, আব্দুস সামাদ, ফারুক, মানিক ও আলম পলাতক রয়েছেন।
গাজীপুর আদালতের অতিরিক্ত পিপি মকবুল হোসেন কাজল জানান, ১৯৯৫ সালের ৭ ডিসেম্বর ইশ্বরপুর গ্রামের বিল্লাল ওরফে বিলুর বাড়ির কাজের ছেলে জাকারিয়া লাউ চুরি করেছে এমন অভিযোগ করে রুস্তম আলী। আসামি রুস্তম আলী চুরির ঘটনাটি জানানোর জন্য বিলু ও জাকারিয়াকে ইশ্বরপুর বাজারে ডেকে নেয়। সেখানে কাথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ফালানসহ অন্যান্য আসামিরা কুড়াল, ছুরি ইত্যাদি অস্ত্র দিয়ে বিলুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহত বিলুর ছোট ভাই মো. জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে ওই দিনই কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পরের বছর ১০মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুস শহীদ ওই ১৩জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার আদালত এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি মকবুল হোসেন কাজল এবং আসামিপক্ষে মো. আলাউদ্দিন হোসেন মামলাটি পরিচালনা করেন ।