প্রাপ্তবয়স্ক হলে লিভ টুগেদার বৈধ : ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট

 

প্রেম তো কোনো বয়স মানে না। সেই প্রেমের অবশ্যম্ভাবী পরিণতি গড়ায় মন থেকে শরীরে। তবে বিভিন্ন দেশের মতো ভারতের সরকারও বিয়ের বয়স বেঁধে দিয়েছে। ছেলেদের ক্ষেত্রে যা ২১ এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৮। এই আইন ঠিক রেখেই এবার যুগান্তকারী রায় দিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। সম্মতি থাকলে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও নারী লিভ-ইন করতেই পারেন, পুরুষের বয়স ২১ এর কম হলেও!

কেরালার একটি মামলাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (৪ মে) এই রায় দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

মামলার বিবরণে জানা যায়, কেরালা রাজ্যের ২০ বছর বয়সী তুষারা ও একই বয়সী নন্দকুমার ভালোবেসে বিয়ে করে। যেহেতু ভারতে বিয়ের বয়স মেয়েদের ক্ষেত্রে নূন্যতম ১৮ এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ বছর, তাই মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে অভিযোগ করে ছেলে নন্দকুমারকে আসামি করে মামলা করেন তুষারার বাবা।

সেই মামলায় গত বছর কেরালার হাইকোর্ট ওই বিয়েকে অবৈধ ঘোষণা করে এবং তুষারাকে বাবার বাড়িতে ফিরে যেতে নির্দেশ দেয়।

কিন্তু হাইকোর্টের এ রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন নন্দকুমারের পরিবার। সুপ্রিম কোর্টের সেই আবেদনের পরিপেক্ষিতে এ রায় ঘোষণা করা হলো।

আদালতের রায়ে বিচারপতি এ কে সিক্রি ও বিচারপতি অশোক ভূষণের সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বলেছেন, ‘বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার বয়স না হলেও যারা প্রাপ্তবয়স্ক, তারা (এ ক্ষেত্রে, তুষারা ও নন্দকুমার) সেই সম্পর্কের বাইরেও লিভ-ইন (লিভ টুগেদার) করতে পারেন। তাদের সেই আইনি অধিকার রয়েছে। আইনসভাও লিভ-ইন সম্পর্ককে অনুমোদন করেছে। সেই সম্পর্ককেও পারিবারিক হিংসা আইনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’

একইসঙ্গে তুষারাকে বাবার বাড়িতে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়াও ঠিক হয়নি বলেও মন্তব্য করে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

দাম্পত্যে সঙ্গী নির্বাচনে আদালত জাতির পিতার ভূমিকা নিতে পারে না মন্তব্য করে বিচারপতিরা বলেন, ‘তুষারা কার সঙ্গে থাকবেন, সেটা তিনিই নির্ধারণ করবেন।’