সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৫৯ বছর থেকে ৬০ বছর করে গণকর্মচারী অবসর আইন ২০১৩ সালের সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার (৭ মে) চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
এর আগে ১১ এপ্রিল হাইকোর্ট সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৫৯ বছর থেকে ৬০ বছর করে গণকর্মচারী অবসর আইন ২০১৩ সালের সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করেন।
রায়ে আদালত মনে করেন, তাদের অবসরের বয়সসীমা ৬১ হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা না করাটা সংবিধান পরিপন্থি ও বৈষম্যমূলক হয়েছে। তাই মুক্তিযোদ্ধারা ৬১ বছর পর্যন্ত সব সুবিধা পেতে পারেন।
গণকর্মচারীদের অবসরের বয়সসীমা নিয়ে ১৯৭৪ সালের আইন সংশোধন করে ২০১২ সালে ৫৭ থেকে ৫৯ বছর করা হয়। এরপর ২০১৩ সালে ওই আইন সংশোধন করেমুক্তিযোদ্ধা গণকর্মচারীদের অবসরের বয়স করা হয় ৬০ বছর। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি ছিল ৬১ বছর করার।
৬০ বছর করার ওই বিধান চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে দু’টিরিট করেন মুক্তিযোদ্ধা ও আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক তপন কুমার সাহা এবং সোনালী ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক মশির উদ্দিন।
ওই রিটের পর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানির পর ১১ এপ্রিল রায় ঘোষণা করা হয়।
রায়ের পর ১১ এপ্রিল রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী গাজী মোস্তাক আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যারা এখনও সরকারি চাকরি করছেন তারা এ রায়ের কারণে ৬১ বছর পর্যন্ত সুবিধা ভোগ করবেন বলে মনে করি।
অপর আইনজীবী এবিএম সিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে চাকরির অবসরের বয়সসীমা ৬১ পর্যন্ত করা উচিত ছিল বলে মত দিয়েছেন আদালত। আর ৬০ বছর করে যে আইন সংশোধন করেছিল সরকার, সেটা অবৈধ বলে বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এস এম নাজমুল হক বলেন,সরকারি চাকরিতে অবসরের বয়সসীমা নির্ধারণ করবে সরকার। এটা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়।
তিনি বলেন, গণকর্মচারী (অবসর) (সংশোধন) আইন, ২০১৩এর সংশোধিত ধারাটি অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করেছেন আদালত। তবে আদালতরায়ে বলেছেন এর সুবিধা রিটকারীরা পাবেন। কীভাবে পাবেন সে বিষয়টি পরিষ্কার না।