মালদ্বীপে সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে প্রধান বিচারপতি আব্দুল্লাহ সাঈদকে চার মাস ২৪ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি ফৌজদারি আদালত। গতকাল মঙ্গলবার (৮ মে) ওই আদালত এই রায় দেয়।
রায়ে বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতি আব্দুল্লাহ সাঈদ গত ৪ ও ৫ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে সরকারের ই-লেটার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (জিইএমএস) বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে সরকারি কাজে বাধার সৃষ্টি করেন।
রায় ঘোষণার সময় বিচারক ইব্রাহিম আলি বলেন, সাক্ষ্য-প্রমাণে আব্দুল্লাহ সাঈদ নিঃসন্দেহে অপরাধী প্রমাণিত হয়েছেন। বাদি পক্ষ এর বিপরীতে কোন প্রামাণ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
আব্দুল্লাহ সাঈদ তার পক্ষে চারজন সাক্ষী হাজির করেন। তারা হলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক আলি হামেদ, বিচারিক প্রশাসক হাসান সাঈদ ও আরো দুই জন। আলি হামেদ ও হাসান সাঈদকে সাক্ষ্য দিতে দেয়া হয়নি।
বিচারক রায় পড়ার পর আব্দুল্লাহ সাঈদের অ্যাটর্নি নুর আল সালাম আবু বকর সাজা কমানোর অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, এই প্রথম তার মক্কেলের বিরুদ্ধে এ ধরনের অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।
মালদ্বীপের বর্তমান আইনে থাকা চার মাস ২৪ দিনের শাস্তি অর্ধেক করার অনুরোধ করেন আবু বকর। তবে তা না শুনে ওই আইনের আওতায় সর্বোচ্চ সাজা দেন বিচারক ইব্রাহিম আলি।
এর আগে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি মালদ্বীপ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আবদুল্লাহ সাঈদকে গ্রেপ্তার করা হয়। সরকারের জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, মালদ্বীপের সুপ্রিম কোর্ট সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহামেদ নাশিদ এবং বিরোধী দলের ১২ এমপিকে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে বিচার করে কারাদণ্ড দেওয়াকে ‘অসাংবিধানিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত’ বলে রায় দিয়ে তাদের মুক্তির নির্দেশ দেয়। ফলে আদালত-সরকার দ্বন্দ্বের জেরে মালদ্বীপে জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর পুলিশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ঢোকে। সেখান প্রধান বিচারপতি আব্দুল্লাহ সাঈদের সঙ্গে আলী হামীদ নামে আরেকজন বিচারক এবং জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হাসান সাঈদকে গ্রেপ্তার করে।