যাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে যুক্তরাজ্যে একজন উবার চালককে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মুহাম্মদ খুররাম দুররানি নামের ওই ব্যক্তি তার ২৭ বছর বয়সী যাত্রীকে তার গাড়ির পেছনে সিটে ধর্ষণ করেন এবং সেলফি তোলেন। খবর দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের।
সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্টের বিবরণীতে জানা যায়, ৩৮ বছর বয়সী দুররানি ২০১৬ সালের ২৩ জুলাই রাতে ওই নারীকে তার গন্তব্যে পৌঁছে দেয়।
বিচারক ডেভিড টমলিনসন বলেন, ওই চালক তার যাত্রীর ঘুমন্ত ছবি তোলার পর ‘আত্মনিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে’। তারা গন্তব্যস্থলে পৌঁছালে ওই নারী যখন তার বাড়ির সমুখ দরজার কাছে যায়, তখন দুররানি তাকে পেছনে থেকে ধরে গাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে ওই নারীকে নির্যাতন ও ধর্ষণ করে দুররানি। তার কৃতকর্মের পর ওই নারীর সঙ্গে একটি সেলফিও তোলেন দুররানি।
বিচারক টমলিনসন বলেন, এটা বলা অবাক করা ব্যাপার বা অতিরঞ্জিত হবে না যে আপনি ওই নারীর জীবন ধ্বংস করে দিয়েছেন। ওই রাতে আপনি যে ক্ষতি করেছেন তা অপরিমেয়।
রায়ের সময় বিচারক টমলিনসন আরও বলেন, আমার এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, দুররানি এ বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত ছিলেন, তার শিকার ‘প্রায় অবশের মতো মাতাল’ ছিল।
দক্ষিণ লন্ডনের স্ট্রেটহ্যামের বাসিন্দা দুররানিকে গেলো এপ্রিলে যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। আদালত ওই দুই অপরাধে দুররানিকে যথাক্রমে ৮ বছর ও ১২ বছর কারাদণ্ড দেন। তবে দুররানির সাজা ১২ বছরই হবে। যেহেতু দুটো অপরাধেরই কারাদণ্ড একইসঙ্গে চলবে।
এছাড়া সেক্স অফেন্ডার্স রেজিস্টারে আজীবনের জন্য দুররানির নাম লিপিবদ্ধ করা হবে। একইসঙ্গে পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ন্ত্রণ আদেশ ও সেক্সুয়াল হার্ম প্রোটেকশন অর্ডার দিতে পারবেন আদালত।
উল্লেখ্য, এর আগে যুক্তরাজ্যের কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা লন্ডনে উবারের লাইসেন্স নবায়ন করবে না। এর কারণ হিসেবে উবার চালকদের অপরাধের রেকর্ড ও অন্যান্য বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির মনোভাবকেই দায়ী করেন কর্তৃপক্ষ।