ফের শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে কোটা আন্দোলনকারীরা

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের ঘোষণার প্রজ্ঞাপন আকারে জারির দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রেখেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবেন বলে বিভিন্ন শ্লোগান তোলেন আন্দোলনকারীরা।

সোমবার (১৪ মে) দুপুর ১টার দিকে এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ শেষে শাহবাগে গিয়ে সড়ক অবরোধ করে। প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা।

আন্দোলনকারীদের এই অবরোধের ফলে চারদিকের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। মোটরসাইকেল পর্যন্ত যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও পথচারীরা। শাহবাগ মোড়ে তাদের অবস্থানের কারণে আশেপাশের সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা ‘আর নয় কালক্ষেপণ, এবার চাই প্রজ্ঞাপন’, ‘প্রজ্ঞাপনে তালবাহানা, চলবে না চলবে না’, ‘দাবি মোদের একটাই, প্রজ্ঞাপন প্রজ্ঞাপন’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দিব না’, ‘লেগেছে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’-ইত্যাদি নানা শ্লোগান দিতে থাকেন।

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নূরল হক নূর বলেন, প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। সরকার চাইলে কোটা বাতিল কিংবা আমাদের পাঁচ দফার ভিত্তিতে কোটা সংস্কার করতে পারে।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ সকাল ১০টা থেকে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে (ঢাবি) বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় ঢাবির কলা ভবন ও ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের ফটক বন্ধ করে দেন তারা। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে হাজারো আন্দোলনকারীরা জড়ো হয়ে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে শুরু হয়ে কলাভবন, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, সূর্যসেন হল, সিনেট ভবন, টিএসসি, শহীদ মিনার, দোয়েল চত্ত্বর, কার্জন হল এলাকায় যায়।

পরে সেখান থেকে হাইকোর্ট মোড়, কদম ফোয়ারা, মৎস্য ভবন, ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট পার হয়ে বেলা ১টার দিকে শাহবাগ মোড়ে এসে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা।

শাহবাগ মোড়ে চার দিক থেকে আসা যানবাহন আটকে রেখেছেন তারা। তবে জরুরি সেবার অ্যাম্বুলেন্স চলাচলে বাধা দেওয়া হচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেওয়ার পরও প্রজ্ঞাপন জারি করতে কালক্ষেপণ করে মন্ত্রণালয় ছাত্রসমাজকে উসকে দিচ্ছে। সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে।