জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তবে জামিন পেলেও খালেদার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলায় শোন অ্যারেস্ট থাকায় আপাতত তিনি কারাবন্দি থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বুধবার খালেদা জিয়ার জামিন বহাল রাখার রায় ঘোষণার পর এক প্রতিক্রিয়ার ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত খালেদা জিয়া জামিন বহাল রেখেছেন। তবে তার (খালেদা জিয়া) বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় শোন অ্যারেস্ট থাকায় আপাতত মুক্তি পাচ্ছেন না।
তিনি আরও বলেন, তবে আমরা আশা করছি শিগগিরই তিনি কারামুক্তি পাবেন। কারণ, সুপ্রিম কোর্টে জামিন পাওয়ার পর আশা করি নিম্ন আদালতেও তিনি জামিন পাবেন।
জানা গেছে, ঢাকায় ২টি, কুমিল্লায় ২টি এবং নড়াইলে ১টি মামলাসহ মোট ৬টি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে শোন অ্যারেস্ট রয়েছে। ফলে দণ্ডপ্রাপ্ত মামলায় জামিন পেলেও খালেদা জিয়া কারাবন্দি থেকে মুক্তি পেতে হলে এসব মামলায় জামিন পেতে হবে।
আজ বুধবার (১৬ মে) সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।
হাইকোর্টের দেয়া খালেদার জামিন বাতিল চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়ে এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ৩১ জুলাই মধ্যে আপিল নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ১২ মার্চ দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। পাশাপাশি এ মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা কেন বাড়ানো হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন আদালত।
এরপর ১৯ মার্চ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ ৮ মে পর্যন্ত জামিন স্থগিতের আদেশ দেন। একই সঙ্গে পরবর্তি দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আইনজীবীদের আপিলের সার-সংক্ষেপ জমা দিতে বলেন।
এর আগে চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামানের আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয় আসামির প্রত্যেককে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা করে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন। রায়ের দিনই খালেদা জিয়াকে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।